চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৮৩ বাংলাদেশি। এ পর্যন্ত নয়টি ফ্লাইটে ৫২১ জন বাংলাদেশিকে লেবানন থেকে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, বৈরুত, লেবানন এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত আসতে ইচ্ছুক আটকেপড়া বাংলাদেশিদের মধ্যে দুইটি পৃথক ফ্লাইটের মাধ্যমে একটিতে ১৫১ ও একটিতে ৩২ জন নিয়ে মোট ১৮৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত নয়টি ফ্লাইটে ৫২১ জন বাংলাদেশিকে লেবানন থেকে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
প্রত্যাবাসন করা অসহায় এসব বাংলাদেশি নাগরিককে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব মো. রুহুল, পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন এবং আইওএম’র বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ফাতিমা নুসরাত গাজ্জালী।
লেবানন থেকে প্রত্যাবাসন করা প্রত্যেককে আইওএম-এর কর্তৃপক্ষ ৫ হাজার টাকা পকেটমানি, কিছু খাদ্যসামগ্রী ও প্রাথমিক মেডিকেল চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
বিমানবন্দরে ফিরে আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলেন ও তাদের খোঁজখবর নেন। এ পর্যন্ত একজন বাংলাদেশি বোমা হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
লেবাননে চলমান সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থায় যতজন প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক তাদের সবাইকে সরকার নিজ খরচে দেশে ফেরত আনবে। বাংলাদেশ দূতাবাস, বৈরুত, দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের জন্য এবং যেসব প্রবাসী বাংলাদেশি ফিরে আসতে অনিচ্ছুক তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।