লেভান্তেকে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করল রিয়াল মাদ্রিদ। দলের এই দুরন্ত জয়ের দিনে ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক পেয়েছেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে করিম বেনজেমাও পেয়েছেন গোলের দেখা।
এই ম্যাচে বেনজেমা ক্লাবের হয়ে ৩২৩তম গোল করে সর্বকালের শীর্ষ গোলদাতার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা মাদ্রিদ লিজেন্ড রাউলকে ছুঁয়েছেন। ফরাসি ফরোয়ার্ডের উপরে কেবল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (৪৫০)।
এদিকে এই হারে লা লিগায় তলানির দল লেভান্তে ৩৬ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে স্পেনের দ্বিতীয় বিভাগে নেমে গেছে। কাগজে কলমে বাকি দুই ম্যাচে তারা অবনমন অঞ্চল উতরাতে পারবে না।
আগামী ২৮ মে লিভারপুলের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচ থাকলেও কার্লো আনচেলত্তি তার প্রথম একাদশে রেখেছিলেন বেনজেমা ও ভিনিসিউসকে। টনি ক্রুস ও কাসেমিরো ছিলেন বেঞ্চে।
ম্যাচের একদম শুরু থেকেই লেভান্তেকে চেপে ধরে রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয় মিনিটেই কারিম বেনজেমার হেডার কোনোমতে ঠেকান লেভান্তে গোলরক্ষক দানিয়েল কারদেনাস। ১৩ মিনিটে রিয়ালের অর্ধ থেকে ফেরলান্দ মেন্ডির উদ্দেশ্যে দারুণ এক লম্বা পাস বাড়ান লুকা মদ্রিচ, সেখান থেকে বল দখলে নিয়ে বাঁ প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুঁকে ধ্বংসযজ্ঞের শুরুটা করেন মেন্ডি।
এই গোলের মিনিট ছয়েক বাদে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বেনজেমা। বাঁ প্রান্তের বাইলাইন থেকে ভিনিসিয়ুসের ক্রসে জোরালো হেডারের মাধ্যমে বল জালে পাঠান এই ফরাসি স্ট্রাইকার। এই গোলের মাধ্যমে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের জার্সিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা (৩২৩ গোল) হিসেবে রাউল গঞ্জালেজের রেকর্ডে ভাগ বসান তিনি। রিয়ালের জার্সিতে বেনজেমার চেয়ে বেশি গোলের মালিক এখন শুধু ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (৪৫০ গোল)।
৩৪ মিনিটে মদ্রিচের বানিয়ে দেওয়া বলে পা ছুঁইয়ে ম্যাচ লেভান্তের নাগালের বাইরে নিয়ে যান রিয়ালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ‘হিরো’ রদ্রিগো গোয়েজ।
দ্বিতীয়ার্ধের গল্পটা শুধুই ভিনিসিয়ুসের। ৪৫ মিনিটে মদ্রিচের কাছ থেকে বল পেয়ে কঠিন অ্যাঙ্গেল থেকে নিচু শটে, ৬৮ মিনিটে বেনজেমার পাতে তুলে দেওয়া বল ফাঁকা জালে ট্যাপ-ইন করে ও ৮৩ মিনিটে লুকা ইয়োভিচের কাছ থেকে বল পেয়ে জোরালো নিচু শটে বল জালে পাঠিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক তুলে নেওয়ার সঙ্গে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন এই ব্রাজিলিয়ান।