রাশেদ রাসু, নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লোহাগড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারি কর্মকর্তা (নায়েব) আব্দুল মোতালেবের বিরুদ্ধে জমি নামজারিসহ বিভিন্ন কাজে নিয়ম-নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনি টাকা ছাড়া কোনো কাজ করেন না এবং অর্থের বিনিময়ে জমির কাগজপত্র ও সরজমিনে না গিয়ে যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রতিবেদন তৈরি করেন, যা জনসাধারণকে বড় ধরনের জটিলতার মধ্যে ফেলেছে। এতে প্রতারিত হচ্ছেন অসংখ্য নিরীহ মানুষ এবং জমি সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তীতে মামলা হামলার শিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।
সম্প্রতি মাইট কুমড়া মৌজার মৃত আকরাম শেখের ০৫ শতাংশের একটি জমির নামজারি তিনি সরজমিনে না গিয়ে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই ছাড়াই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অনুমোদন করেছেন। স্থানীয়দের মতে, বিভিন্ন দালাল চক্রের সহায়তায় জমি সংক্রান্ত কাজে ব্যাপক অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন নায়েব আব্দুল মোতালেব। তারা ভূমি অফিসের এ অসাধু কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আব্দুল মোতালেবের সাথে জড়িত কয়েকজন, ভূমির মালিকানা বা কাগজপত্র যাচাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজও দালালদের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগী জানান, “আমি জমির নামজারি করতে অনেক চেষ্টার পরেও সঠিক কাগজপত্র সত্ত্বেও ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। শুধু টাকা দিলে কাজ হয়। সাধারণ মানুষের সম্পত্তি ঝুঁকিতে রয়েছে।” এই অব্যবস্থাপনার ফলে জমি সংক্রান্ত জটিলতা দিন দিন বেড়েই চলছে।
এ বিষয়ে আব্দুল মোতালেব বলেন আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে এসিল্যান্ডের কাছে জানাবেন। এছাড়া সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছেন, নায়েব আব্দুল মোতালেবের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তারা মনে করেন, লোহাগড়ার ভূমি অফিসের এই অনিয়মে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের তদারকি প্রয়োজন।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিঠুন মৈত্র বলেন, আব্দুল মোতালেব এর বিরুদ্ধে এ বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।