ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, দেশের শত্রুদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। ইরানজুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলার তৃতীয় সপ্তাহে গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন তিনি।
পুলিশি হেফাজতে মাশা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভের জন্য ‘বিদেশি শত্রু’দের দায়ী করে আসছে ইরান সরকার।
এরই মধ্যে সরকারবিরোধী এ বিক্ষোভ তৃতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে। নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটস গতকাল বলেছে, বিক্ষোভে দমনপীড়নের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল ইরানি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যে সময়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্র আঞ্চলিক ও বৈশ্বিকভাবে আরও সক্রিয় হয়ে ওঠার পথে অর্থনৈতিক জটিলতাগুলো কাটিয়ে উঠছে, তখন শত্রুরা দেশটিকে একঘরে করে দেওয়ার খেলায় মেতেছে। তবে তাদের এই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে।’
গত শুক্রবার ইরান বলেছে, বিক্ষোভে ভূমিকা থাকায় তারা ৯ জন ইউরোপীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে জার্মানি, পোল্যান্ড, ইতালি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন এবং আরও কয়েকটি দেশের নাগরিক আছেন। তাঁদের আটকের ঘটনায় ইরান ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
কঠোর ‘পর্দাবিধি’ মেনে হিজাব না পরার অভিযোগে ১৩ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সি মাশা আমিনিকে তেহরান থেকে আটক করে ‘নৈতিকতা পুলিশ’। আটকের পর পুলিশি হেফাজতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে তেহরানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নির্যাতনে মাসার মৃত্যু হয়েছে দাবি করে ইরানের মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন।
খবর রয়টার্স