1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন

শত শত হাসপাতাল ধ্বংস করেছে রাশিয়া : জেলেনস্কি

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ৬ মে, ২০২২

রাশিয়া সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে ইউক্রেনের শত শত হাসপাতাল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তার অভিযোগ, রুশ এই ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর কারণে ক্যান্সার মোকাবিলা করার মতো ওষুধ নেই, এমনকি অস্ত্রোপচারও করতে পারছেন না ডাক্তাররা।

বৃহস্পতিবার (৫ মে) দেওয়া এক ভিডিওবার্তায় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এ কথা বলেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার মেডিক্যাল দাতব্য গোষ্ঠীর উদ্দেশে ভাষণ দেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানি তিনি বলেন, ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলীয় অনেক জায়গায় চিকিৎসা সামগ্রীর সংকট রয়েছে। এমনকি অনেক জায়গায় মৌলিক অ্যান্টিবায়োটিকেরও অভাব রয়েছে।

ইউক্রেনেীয় প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আপনারা যদি কেবল চিকিৎসা অবকাঠামোর কথা চিন্তা করেন, তাহলে দেখবেন আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্যরা প্রায় ৪০০টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এর মধ্যে হাসপাতাল, প্রসূতি ওয়ার্ড, বহিরাগত (আউট পেশেন্ট) ক্লিনিকও রয়েছে।’

তিনি বলেন, রুশ বাহিনীর দখলকৃত এলাকায় পরিস্থিতি বিপর্যয়কর। জেলেনস্কির ভাষায়, ‘ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের পুরোপুরি অভাব রয়েছে। এর মানে চরম অসুবিধা বা ডায়াবেটিসের জন্য ইনসুলিনের সম্পূর্ণ অভাব। রোগীদের অস্ত্রোপচার করা অসম্ভব। এমনকি অ্যান্টিবায়োটিকেরও অভাব রয়েছে।’

রাশিয়া অবশ্য এ ধরনের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় ক্রেমলিনের দাবি, রুশ সেনারা কেবল ইউক্রেনের সামরিক ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করেই হামলা করছে।

তবে ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানে হাসপাতাল ও স্কুলের মতো বেসামরিক স্থাপনায় রাশিয়ার সেনাদের হামলার খবর গণমাধ্যমে বেশ কয়েকবারই এসেছে। গত ৯ মার্চ রুশ সেনাদের হামলায় ইউক্রেনের মারিউপোল শহরের একটি প্রসূতি হাসপাতাল ধ্বংস হয়ে যায়।

তবে রাশিয়া বলছে, হামলার ছবি মঞ্চস্থ করা হয়েছে এবং হাসপাতাল বলে দাবি করা ওই স্থাপনাটি সশস্ত্র ইউক্রেনীয় গোষ্ঠীগুলো ব্যবহার করছিল।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি