শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন আজ। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরইমধ্যে শেষ হয়েছে সব প্রস্তুতি। পরিচালনা করা হয়েছে পরীক্ষামূলক ফ্লাইটও। আধুনিক সুযোগ-সুবিধার দৃষ্টিনন্দন এ টার্মিনালটি যাত্রীদের জন্য খুলে দেয়া হবে আগামী বছরের শেষ নাগাদ।
২০১৯ সালে প্রায় আড়াই লাখ বর্গমিটার আয়তনের এই টার্মিনালের কাজ শুরু। ২১ হাজার ৩শ কোটি টাকার এই প্রকল্পের সিংহভাগ অর্থায়নই করেছে জাইকা। এখানে রয়েছে ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজ, রাখা যাবে একসাথে ৩৭ টি উড়োজাহাজ। সবমিলিয়ে শতাধিক ইমিগ্রেশন কাউন্টার এবং স্বয়ংক্রিয় তল্লাশি ব্যবস্থায় এই টার্মিনালের মাধ্যমে ওঠানামা করতে পারবেন বছরে প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ যাত্রী।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান জানান, উন্নত বিশ্বের বিমানবন্দরের মতো সেবা দেয়ার সবোচ্চ চেষ্টা করা হবে। ট্রানজিট প্যাসেঞ্জারের জন্য থাকবে আলাদা লাউঞ্জ। থার্ড টার্মিনালে প্রবেশের ক্ষেত্রে কিংবা বের হতে সংযুক্ত হবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। পাশাপাশি থাকবে যাতায়াতের অন্যান্য সুবিধাও।
স্থপতি রোহানি বাহারিনের নকশায় থার্ড টার্মিনাল তৈরিতে কাজ করেছে জাপানের মিতসুবিশি, ফুজিটা ও দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং। সব ঠিক থাকলে ২০২৪ সালে শেষের দিকে যাত্রীরা ব্যবহার করতে পারবেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল।
এই টার্মিনালে থাকছে ১৬টি আগমনী লাগেজ বেল্ট। তবে আপাতত সার্ভার জটিলতায় ই গেইট ব্যবহার করতে পারবেন না ই পাসপোর্টের যাত্রীরা।