রাজধানীর শাহবাগে টিএন্ডটি এক্সচেঞ্জ এলাকায় পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগ। গত ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি ধারাবাহিক অভিযানে ঢাকা ও আশপাশ জেলা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত দুটি চাপাতি, দুটি চাকু, একটি এন্টিকাটার, একটি হাতুড়ি ও ছিনিয়ে নেওয়া দুই লাখ ৫০ হাজার টকা উদ্ধার করা হয়।
আজ শনিবার (১৩ ফ্রেব্রুয়ারি) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, মাজহারুল ইসলাম ওরফে রাকিব, মো. জহিরুল তালুকদার, আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে খোকা, মো. সেলিম ওরফে ল্যাংরা সেলিম, মো. লালন এবং মো. সেলিম মিয়া।
হাফিজ আক্তার বলেন, ‘গত ৭ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম রাজধানীর তাঁতিবাজার রোমানের অফিস থেকে একটি ব্যাগের মধ্যে ৩৫ লাখ টাকা নিয়ে ব্যাংকে জমা করার উদ্দেশ্যে রিকশায় করে রওনা হন। আনুমানিক বেলা আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে শাহবাগ থানার টিএন্ডটি এক্সচেঞ্জের পূর্বপাশে রাস্তার উপর টেম্পুস্ট্যান্ডে আসার পর অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জন রিকশার গতিরোধ করে তাকে ঘিরে ধরে।
এরপর কয়েকজন শহিদুলকে উপর্যুপরি কিল, ঘুষি, থাপ্পড় ও চাকু দিয়ে তার ডান চোখের নিচে গুরুতর আঘাত করে তার কাছে থাকা ৩৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এই ঘটনায় শাহবাগ থানায় ৮ ফেব্রুয়ারি একটি মামলা করা হয়। ঘটনার পর থেকেই ডিবির রমনা টিম অভিযান শুরু করে ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করে। এতে কারা জড়িত, কে খবর দিয়েছে সবই ডিবির নজরে আছে। অতি শিগগিরই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ছিনতাইয়ের বাকি টাকাগুলো ছিনতাই চক্রের অন্য সদস্যরা ভাগ করে নিয়েছে। তাদের গ্রেফতার করা হলেই বাকি টাকাও উদ্ধার করা হবে।
এই চক্রের মোট কতজন সদস্য ছিল সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার উল্লেখ করেন, ‘চক্রটি বেশ বড়ো। তদন্তের স্বার্থে তারা কতজন এখন তা বলতে চাচ্ছি না।’