শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার ঘাটতি পূরণে সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শনিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে চাঁদপুরে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, শিক্ষার্থীদের পাঠদান কিন্তু বন্ধ ছিল না। আমরা তাদের জন্য অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করেছিলাম। আমরা যখন দেখি, কিছু কিছু শিক্ষার্থী টেলিভিশন দেখার বা অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করার সুযোগ ছিল না। তখনই আমরা কাজের জন্য অ্যাসাইনমেন্টের ব্যবস্থা করেছি। অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে আমরা সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থীদের কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছি। ক্লাসের মতো ষোলো আনা শিক্ষার কোনও বিকল্প কিছু নেই। কোথাও না কোথাও তো ঘাটতি রয়েই গেছে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর সেই ঘাটতি পূরণে রেমেডিয়াল (প্রতিকার) ক্লাসসহ আমাদের একেবারে সুনির্দিষ্ট বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে।’
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. সাখাওয়াত উল্লাহ, নৌপুলিশের এসপি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মোহাম্মদ নাসিম আক্তার নাসিম আক্তার, এনএসআই ডিডি আরমান আহমেদসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন দফতরের প্রধানরা।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) চাঁদপুর সদর উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশের প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরু করা যাবে।