স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে শিগগিরই করোনা প্রতিরোধে বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইন শুরু হবে। যারা বুস্টার ডোজ নেননি, তারা যেন অতি দ্রুত নিয়ে নেন, এটাই আমাদের উদ্দেশ্য।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) দুপুরে জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে করোনা প্রতিরোধে প্রায় ২২ টিকা প্রদান করা হয়েছে। সাড়ে ১২ কোটি প্রথম ডোজ এবং দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে সাড়ে ৮ কোটি। এক দিনে ১ কোটি ২০ লাখ টিকা দেয়া হয়েছে। যে কারণে মৃত্যু ও সংক্রমণ কমে আসছে।
মন্ত্রী বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আগামীতে করোনার চিকিৎসক বিনামূল্যে দেয়া হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, ডোনার সংকটের কারণে এখনও মরণোত্তর কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হচ্ছে না। মরণোত্তর কিডনি দানে সচেতন না মানুষ। এই বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে। অনেকেই মরণোত্তর কিডনি দানে প্রতিশ্রুতি থাকেলেও স্বজনদের আবেগের কারণে মরণোত্তর কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হচ্ছে না।
মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনে ১৯৯৯ সালে দেশে একটি আইন প্রণয়ন হয়। ২০১৮ সালে সংশোধনী আনা হয়। এর মাধ্যমে অঙ্গদানের সুযোগের পরিধি বাড়লেও মরণোত্তর অঙ্গ প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, কিডনি বিকল হওয়ার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ জানে তাদের কিডনি রোগে ভুগছেন। বিশ্বমানের চিকিৎসা এখন বাংলাদেশ হচ্ছে। হাসপাতালে জনবল এবং কিছু সংকট রয়েছে। আপনার কাজ করেন। অবশ্যই জনবল এবং অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।