রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, তার দেশের নৌবাহিনী খুব শিগগির হাইপারসনিক জিরকন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পাবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র নৌবাহিনীতে যুক্ত হবে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র এমন স্থানে মোতায়েন করা হবে যেখানে রাশিয়ার স্বার্থ রয়েছে। খবর আল জাজিরার।
রাশিয়ার নৌবাহিনী দিবসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা জানান। যদিও এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি। তবে জিরকন হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে অনন্য বলে উল্লেখ করেছেন।
পুতিন বলেন, রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর কাছে এই (ক্ষেপণাস্ত্র) আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সরবরাহ করা হবে। তিনি বলেন, এডমিরাল গোর্শকভ ফ্রিগেট এই অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে প্রথম যুদ্ধের দায়িত্ব পালন করবে।
এই রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, এখানে মূল বিষয় হলো রাশিয়ান নৌবাহিনীর সক্ষমতা… যারা আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা লঙ্ঘনের চেষ্টা করবে তাদের জন্য এটি বিদ্যুৎ গতিতে প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম। তবে এসব বক্তব্যের সময় তিনি ইউক্রেনের বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকে দুদেশের মধ্যে সংঘাত এখনও চলছেই। কিছুদিন আগে দক্ষিণ ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চলের দখল নিয়েছে রাশিয়া। এবার ডনবাসের দ্বিতীয় অংশ দোনেৎস্কের দখল নিতে তীব্র আক্রমণ চালাচ্ছে রুশ সেনারা। এর জেরে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের বাধ্যতামূলকভাবে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
শনিবার (৩০ জুলাই) রাতে টেলিভিশনের এক ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বৃহত্তর ডনবাস অঞ্চলের যেসব বাসিন্দা এখনো যুদ্ধের এলাকায় রয়েছেন, তাদের সরে যাওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, যত লোক দোনেৎস্ক থেকে বেরোবে, রুশ সেনারা হত্যার জন্য তত কম লোক পাবে। জেলেনস্কি বলেন, অনেকেই সরে যেতে রাজি হচ্ছেন না। কিন্তু এটি করা দরকার। আপনার যদি সুযোগ থাকে, তাহলে যারা ডনবাসে যুদ্ধের এলাকায় রয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলুন। দয়া করে তাদের বোঝান যে, সরে যাওয়া জরুরি। সেখান থেকে সরে যাওয়া বাসিন্দাদের প্রয়োজনে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।