মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে গত দুইদিনের মতো আজও সেহরির পর থেকে প্রচণ্ড যাত্রীর চাপ পডে়েছ। পদ্মা পাড়ি দিয়ে পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে ঘাটে এসে ভিড় করেছে ঘরমুখী মানুষ। এ সময় ঘাট পারের অপোয় ৫০০ ছোট গাড়ির সারি তৈরি হয়।
আজ রোববার (১ মে) সকাল ৮টার দিকে শিমুলিয়া ঘাটে দেখা যায় লঞ্চঘাটে লম্বা লাইনে দা দাঁড়িয়ে লঞ্চে উঠছে যাত্রীরা।
গতকাল শনিবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বৈরী আবহাওয়ায় কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পরে আজ রোববার (১ মে) ভোর ৬টা থেকে পুনরায় লঞ্চ চলাচল শুরু করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন নদীবন্দর কর্মকর্তা মো. সোলাইমান। তিনি জানান, ভোর ৬টা থেকে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ৮৫টি লঞ্চ এবং ১৫৫টি স্পিডবোট চলাচল করছে। লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে ভোরেও প্রচণ্ড যাত্রীর চাপ ছিল, এখনো তা অব্যাহত আছে।
এদিকে স্পিডবোটে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বছর স্পিডবোট ভাড়া ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও অনেকেই তাদের কাছ থেকে ২০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
এ ব্যাপারে শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ বলেন, এই নৌরুটে এখন ১০টি ফেরি চলছে। ঘাটে পারাপারের অপোয় ৫০০ পরিবহন রয়েছে। গত দুইদিনের মতো আজও সেহরির পর ঘাটে প্রচুর যাত্রী চাপ ছিল। লঞ্চ শুরু হওয়ার পর যাত্রীর চাপ কিছুটা কমেছে।