এর আগে মন্ত্রণালয়টির যুগ্ম সচিব আব্দুল সাত্তার শেখকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাজ শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এই গণশুনানি। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে তদন্ত কমিটির প্রধান আব্দুস সাত্তার শেখ এসব জানিয়েছিলেন। এছাড়া সাত কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দফতরে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনও আজ একটি গণশুনানির আয়োজন করেছে। সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি এই গণশুনানি করবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়লাঘাট এলাকায় এটি অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেও লঞ্চ দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া যাত্রীদের আত্মীয়স্বজন, বেঁচে যাওয়া যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য দিতে আহ্বান করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরী স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় ৩৪ যাত্রীকে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে বিআইডব্লিউটিএ। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় মামলাটি করেন বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপপরিচালক (নৌ নিট্রা) বাবু লাল বৈদ্য।
মামলায় হত্যার উদ্দেশ্যে বেপরোয়া গতিতে পণ্যবাহী জাহাজ চালিয়ে লঞ্চটি ডুবিয়ে ৩৪ জনের প্রাণহানি ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে মামলায় আসামি হিসেবে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।
গত রোববার (৪ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ৫৬ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে সাবিত আল হাসান নামে লঞ্চটি অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লঞ্চটি শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় নদীতে তলিয়ে যায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।