নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় শিশুসহ নিখোঁজ আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন একজন।
এদিকে দুর্ঘটনার পর থেকে শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় টানা তিনদিন যাবত নিখোঁজদের সন্ধানে আহাজারি করছেন তাদের স্বজনরা।
নারায়ণগঞ্জ নৌ-থানা পুলিশের ওসি জানান, মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার সময় মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর থেকে বেসরকারি আইটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল জাবের এবং বন্দর উপজেলার হরিপুর থেকে শিশু আরোহীর লাশ উদ্ধার হয়। লাশ দুটি ভেসে উঠলে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে জানায়। পরে তাদের টহল বোট গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
পরে সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থেকে আরও একজন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড। লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান নিহতের স্বজনরা। তবে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ায় উদ্ধারকারি সংস্থাগুলোর উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-থানা পুলিশ ও কোস্ট গার্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তালিকা অনুযায়ী আরও একজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের লাশ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত টহল ও তল্লাশি তৎপরতা চলবে।
গত ২০ মার্চ দুপুর ১টা ৫৮ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ৩০ থেকে ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে এমভি আফসার উদ্দিন নামে যাত্রীবাহি লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ২টা ২০ মিনিটে শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে একটি পণ্যবাহি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে যায়।