আইপিএলে বৃহস্পতিবার দিনের একমাত্র ম্যাচে জয় পেয়েছে গুজরাট টাইটান্স। রাজস্থান রয়্যালসকে তারা হারিয়েছে ৩৭ রানে। টস জিতে গুজরাটকে আগে ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানায় রাজস্থান। দ্বিতীয় ওভারেই রান-আউট হন ম্যাথু ওয়েড, করেন ৬ বলে ১২ রান।
পরের ওভারেই বিজয় শঙ্কর বিদায় নেন। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার সাথে ৩৮ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন শুবমান গিলও। গিল করেন ১৪ বলে ১৩ রান।
৫৩ রানে গুজরাট তিন উইকেট হারিয়ে ফেলার পর আবারও ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান হার্দিক পান্ডিয়া ও অভিনব মনোহর। চতুর্থ উইকেটে তারা গড়েন ৫৫ বলে ৮৬ রানের জুটি। অভিনবকে শিকার করে এই জুটি ভাঙেন যুযবেন্দ্র চাহাল। চারটি চার ও দুইটি ছক্কায় ২৮ বলে ৪৩ রান করেন অভিনব।
অভিনবের বিদায়ের পর হার্দিকের সাথে জুটি গড়েন ডেভিড মিলার। মিলার তার ‘কিলার’ রূপ দেখান তারই সাবেক দল রাজস্থানের বোলারদের বিরুদ্ধে। ১৪ বলে হার না মানা ৩১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন মিলার। মিলারের ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা।
অধিনায়ক হার্দিক ৫২ বলে করেন ৮৭ রান। হার্দিকের উইলো থেকে আসে আটটি চার ও চারটি ছক্কা। স্ট্রাইকরেট ১৬৭.৩১। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে গুজরাট সংগ্রহ করে ১৯২ রান।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত শুরু করেন জস বাটলার। ১.৫ ওভারেই বাটলার ২৮ রান তুলে ফেলার পর দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলটি মোকাবেলা করতেই গোল্ডেন ডাক পান দেবদূত পাড়িক্কাল। রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৮ বলে ৮ রান), সঞ্জু স্যামসন (১১ বলে ১১ রান) ও র্যাসি ফন ডার ডুসেন (১০ বলে ৬ রান) নিয়মিত বিরতিতে বিদায় নিলে চাপে পড়ে রাজস্থান।
বাটলারও অর্ধশতক হাঁকিয়ে বিদায় নেন। আটটি চার ও তিনটি ছক্কায় ২৪ বলে ৫৪ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন তিনি। বাটলার বোল্ড হন লকি ফার্গুসনের বলে। রাজস্থানের হাত থেকে যখন ম্যাচ বের হয়ে যাচ্ছিল তখন শিমরন হেটমায়ার ১৭ বলে ২৯ রান করে আশা জিইয়ে রেখে সাজঘরে ফেরেন। রিয়ান পরাগ করে করেন ১৬ বলে ১৮ রান। ১৫ বলে ১৭ রান করা জেমস নিশামকে শিকার করেন হার্দিক।
ম্যাচ শেষের আগেই একপ্রকার হেরে যায় রাজস্থান রয়্যালস। টেল-এন্ডার ব্যাটাররা কেবল হারের ব্যবধান কিছুটা কমানোর চেষ্টা করেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে রাজস্থান সংগ্রহ করে ১৫৫ রান। ফলে ৩৭ রানের ব্যবধান ম্যাচ জেতে গুজরাট। গুজরাটের পক্ষে চার ওভারে মাত্র ২৩ রান খরচ করে তিনটি উইকেট নিয়েছেন ফার্গুসন। ফলে, পাঁচ ম্যাচে ৪ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে পান্ডিয়া, রশিদ খানরা। সমান ম্যাচে ২ পয়েন্ট কম নিয়ে কলকাতা দুইয়ে। রাজস্থানের অবস্থান তিনে।