1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন

শুদ্ধি অভিযান কেন থমকে যাচ্ছে

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০২১

২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতা গ্রহণের পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন যে, দুর্নীতি এবং অনিয়ম সহ্য করা হবে না। এবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করা হবে। আর এর প্রমাণও তিনি রাখেন হাতে হাতে। ক্ষমতায় আসার পরপরই প্রথম শুদ্ধি অভিযান পরিচালিত হয় আওয়ামী লীগের ভেতরেই। ক্যাসিনো বাণিজ্যের অভিযোগে যুবলীগের অনেক শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হন। সারাদেশে, ঢাকা শহরে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়। শুধু তাই নয় আওয়ামী যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের অন্যান্য আরও কয়েকটি সহযোগী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে তাদেরকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, খালিদসহ বেশকিছু যুবলীগের নেতা আটক হন। এ সময় অনলাইন ক্যাসিনোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় একসময় তারেকের ঘনিষ্ঠ সেলিম প্রধানকে। কিন্তু একপর্যায়ে দেখা গেল যে, এই অভিযান থমকে গেছে। ক্যাসিনো অভিযানে যারা আটক হয়েছিলেন তারা এখনও জেলে আছেন।

কিন্তু এই ক্যাসিনোর মূল হোতা কারা, কিভাবে ক্যাসিনোগুলো হয়েছিল ইত্যাদি বিষয়ে আর তদন্ত এগোয় না। কাছাকাছি সময়ে আওয়ামী লীগ টেন্ডার মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় জি কে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। যিনিও যুবলীগের একজন নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন। কিন্তু জি কে শামীমকে গ্রেপ্তারের পর এই অভিযান আর ডালপালা মেলে নি। একটা পর্যায়ে এই অভিযান থেমে গেছে। আওয়ামী মহিলা যুবলীগের নরসিংদীর নেতা পাপিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয় ওয়েস্টিনে তার বিলাসবহুল জীবনযাপনের প্রেক্ষাপটে। কিন্তু এই সময় বলা হয়েছিল যে, পাপিয়ার পেছনে যারা আছে, পাপিয়ার গডফাদার যারা আছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। এই সময় পাপিয়ার সঙ্গে অনেকের ছবি প্রকাশিত হয়েছিল। কারা পাপিয়াকে রাজনীতিতে এনেছিল সে নিয়েও কথাবার্তা হয়েছিল। কিন্তু সেই অভিযানও থমকে যায়। শাহেদ অভিযান। করোনার সময় স্বাস্থ্যখাতে নানা রকম দুর্নীতি-অনিয়ম হয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম আলোচিত ছিল প্রতারক শাহেদের কান্ড। রিজেন্ট হাসপাতালের নামে করোনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট প্রদানের জন্য আলোচিত হন শাহেদ।

সে সময় দেখা যায় যে, শাহেদ আওয়ামী লীগ একটি উপ-কমিটির সদস্য। তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও কারা তাকে আওয়ামী লীগে আনলো এবং কিভাবে তিনি আওয়ামী লীগের মধ্যে একটি প্রভাবশালী ব্যক্তিতে পরিণত হলেন এ নিয়ে আর রহস্যের উন্মোচন হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে পিয়াসা-মৌ-মিশু-জিসানের বিরুদ্ধে এবং সেই সময় বলা হয়েছিল যে, এদের চক্রে যারা জড়িত তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু পিয়াসা, মৌ, জিসান এবং মিশুকে গ্রেপ্তারের পর দেখা গেল যে, আর অভিযান এগোচ্ছে না। এখন বরং এদের বিরুদ্ধে তদন্ত কিভাবে দ্রুত শেষ করা যায় সেদিকে যেন মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে যে, একের পর এক শুদ্ধি অভিযানগুলো শুরু হয় কিন্তু শুদ্ধি অভিযোগগুলো এগুতে পারেনা। মাঝপথে থমকে যায়। সামনের লোকগুলো ধরা হয়, কিন্তু এর নেপথ্যে যারা কলকাঠি নাড়ছেন তাদেরকে ধরা হয় না। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করেন যে, শুদ্ধি অভিযানে যদি নেপথ্যের কলকাঠি যারা নাড়ছেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা আনা হয় তাহলে পরে এ ধরনের শুদ্ধি অভিযান আসলে সমাজে কোনো কল্যাণ আনতে পারবে না।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি