রফতানিকে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা প্রদানে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তাদরে অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে কাজ করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশে। এখানে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার, এ বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এতে করে উভয় দেশ লাভবান হবে।’
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাংকিউনের (Lee Jangkeun) সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমেরও অংশীদার দক্ষিণ কোরিয়া। তৈরি পোশাক, ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি নির্মাণ কাজেও তারা বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে। উভয় দেশ উদ্যোগ নিলে এ সুযোগকে কাজে লাগানো সম্ভব। দক্ষিণ কোরিয়া উন্নয়নশীল দেশগুলোকে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে। বাংলাদেশও উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করলে রফতানি বাড়বে এবং উভয় দেশের বাণিজ্য ব্যবধান কমবে। বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় রফতানি বৃদ্ধির চেষ্টা চালাচ্ছে।’
এসময় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার বন্ধুরাষ্ট্র এবং ব্যবসায়ীক বড় অংশীদার। বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক ব্যবসা ও বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অবদান রাখছে দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া চট্রগ্রামে কেইপিজেড বাস্তবায়ন করছে, এখানে বড় ধরনের বিনিয়োগ রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য কাজ করছে। বাংলাদেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, পরিস্থিতি মোবেলায় দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩৭০ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ১৩১৫ দশমিক ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। আগামীতে উভয় দেশের বাণিজ্য আরও বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. হাফিজুর রহমান এবং ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।