কুদরত-ই খোদা র শিক্ষানীতি নিয়ে বাংলায় গণ জাগরণ সৃষ্টি হয়েছিলো। গত শতকের ৬০/৭০ দশকে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিক্ষক জ্ঞানী দার্শনিক ও রাজনীতিবিদদের অভিন্ন ছিলো ডক্টর কুদরত-ই খোদার শিক্ষানীতি বাস্তবায়ণ চাই, সে শিক্ষা ব্যাবস্থা বাস্তবে কতটা ছিলো কিংবা ছিলোনা সেটি ইতিহাস ও গবেষনার বিষয়। কিন্তু সে দাবির সঙ্গে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো সমর্থন দেয়ায় গণ জাগরণ সৃষ্টি হয়েছিলো তারই সুত্র ধরে বাঙ্গালীয়ানা বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ ও বাংলা ভাষা মিলে বাঙ্গালীর মুক্তির সনদ রচিত হয়েছিলো। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা ও বিজয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১। ৭১ সালের পর ডজন খানেক শিক্ষানীতি শিক্ষার পরিবর্তন সংস্কার সহ বহুমাত্রিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।হলেও, বাস্তবতার নীরিখে কোনটাই কাক্সিক্ষত সফলতা বয়ে আনতে পারেনি। বিগত শতকের ৬০/৭০ ও ৮০ দশকে চিৎকার ছিলো জীবন ও কর্মমুখী শিক্ষা চাই এবং শিক্ষা শেষে কাজ চাই । যে দাবিতে গোটা দেশ জাগরিত হয়েছিলো ১৯৯০ সাল পর্যন্ত । সেই ধারণা ও দর্শন এবং বাস্তবতার নীরিখে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধান্মন্ত্রী শেখ হাসিনা চিন্তা প্রসুত নতুন শিক্ষা নীতি শিক্ষানীতিই প্রবর্তিত হচ্ছে ২০২১ এ।
১৯৭১- ২০২১ পঞ্চাশ বছর। এই পঞ্চাশ বছরে শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে উন্নতি ঘটেছে। উচ্ছ শিক্ষা ও মাধ্যমিক শিক্ষার প্রসার্ব ঘটেছে। কিš‘, মধ্যম আয়ের দেশে, উন্নত দেশ, উচ্চ আয়ের দেশ হতে হলে গতানুগতিক শিক্ষা ব্যাবস্থা দিয়ে আগামী ২১ সালে বাংলাদেশ গড়া যাবে না। চেয়ার টেবিলে বসে ফ্যানের নিচে অফিস করার মতো চাকুরী ও কর্মক্ষেত্র প্রতিনিয়ত কমছে। অপরদিকে কারিগরি দক্ষতা সম্পন্ন কর্ম মুখী মানব সম্পদের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। কিন্তু সেই দক্ষ মানব সম্পদ বা জনশক্তি গড়ে উঠেনি দেশে। বিগত ১৫ বছরের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ণে বাংলাদেশে প্রায় ১ থেকে দেড় লক্ষ বিদেশী কর্মক্ষম মানব সম্পদ বাংলাদেশে কাজ করছে। এদের পেছনে শতকোটি টাকা বেতন ভাতা হিসেবে পরিশোধ করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
এধরণের দক্ষ মানব সম্প্দ বাংলাদেশে সৃষ্টি হয়নি বলেই আমাদের এই যায়গাটা মস্তবড় দুর্বলতা হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে। এই বিষয়টা কেউ বুঝুক আর না বুঝুক জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সঠিকভাবে অনুধাবনকরেছেন। তারই আলোকে বঙ্গবন্ধু কন্যা তার পরন্ত বেলায় এই দেশের জন্য দুটি সর্ববৃহৎ অবদান রেখে যেতে চান। তার একটি হলো ২১০০ সালে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়ণ এবং দ্বিতীয়টি হলো জীবন ও কর্মমুখী শিক্ষা ব্যাবস্থার প্রবর্তন। গত ১৩ই সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী ডক্টর দিপুমনি ও উপমন্ত্রী ব্যারিষ্টার নওফেল নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন। রাতে ৭১ টিভিতে সাধারণ মুক্ত আলোচনায় শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল নতুন শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে দীর্ঘ সময় কথা বলেছেন। কিন্তু, সংবাদ সম্মেলনে ও ৭১ টিভিতে বঙ্গবন্ধুকণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়া শিক্ষা ব্যাবস্থা ও দর্শন সেটি তারা বিস্তারিত ভাবে স্পষ্ঠ করতে পারেনি। আশার কথা হলো, এই নয়া শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে দেশে গণ জাগরণ সৃষ্টি হবে। এ নিয়ে আমাদের ধারাবাহিক গবেষনা প্রতিবেদনও চলমান থাকবে।