1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১১ অপরাহ্ন

 শেখ হাসিনার এক বিন্দু রক্ত থাকতে অসাংবিধানিক সরকার সম্ভব নয়

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ৪ আগস্ট, ২০২৪

কিবরিয়া চৌধুরীঃ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতে অসাংবিধানিক কোন সরকার মেনে নিবে না। জামায়াত, বিএনপি, সহ তাদের মিত্রদল গুলো  এবং তাদের সমর্থিত জ্ঞানী গুনি, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, ছাত্র, সংস্কৃতিক কর্মী সুশীল সমাজ বিভিন্ন পেশাজীবীরা একত্রিত হয়ে দেশ অচল করে দিলেও ও বঙ্গবন্ধু কন্যা এক বিন্দুও ছাড় দিবেনা সাংবিধান প্রশ্নে। যদিও ইতিমধ্যে জামায়াত, বিএনপি ও সাধারন ছাত্র কোটা বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ঐক্যবদ্ধতার আন্দোলন চলছে। ছাত্র নেতারা গ্রামে মহল্লায় কমিটি করে সরকার বিরোধী আন্দোলোনে নামার ঘোষনা হয়েছে। এ প্রতিবেদন প্রকাশ পর্যন্ত সারা দেশে কোটা বিরোধীদের সঙ্গে সংঘাতে প্রায় ৮০ জন নিহত হয়েছে। অগ্নি সংযোগ, হত্যা ভাংচুর, সরকারী বেসরকারী  স্থাপনায় কোটা বিরোধীরা হামলা করেছে। আন্দোলন কারীরা এখন কোটায় নেই। তারা সরকার গঠন করতে চায়? তাদের সঙ্গে সহমত পোষন করে যেসব শিক্ষক, আইনজীবী, সংস্কৃতিক কর্মীরা ও সরকারের পদত্যাগ দাবী করছে।তাদের বুঝতে হবে সরকার পতন ঘটানো এক ধরনের আন্দোলন। আর সরকার গঠন করা আরেকটি ঘটনা। সব মিলে সারমর্ম দাঁড়ালো, অসাংবিধানিক ও অনির্বাচিত সরকার। আবার গনতন্ত্র ও সাংবিধানকে লংঘন করে অগণতান্ত্রিক অসাংবিধানিক সরকার গঠন করা। জাতীয় সরকার, সম্মলিত সরকার, সমন্বিত সরকার যে নামেই বলা হোক না কেন? অসাংবিধানিক পথে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একচুল ও নড়বেনা। বর্তমান সংবিধানের আইনে অগণতান্ত্রিক অসাংবিধানিক পদ্ধতির কোন সরকার প্রতিষ্ঠার দাবী করাও বে-আইনী। ক্ষমতায় যাবার ও সরকার গঠনের এক মাত্র পথ নির্বাচন। নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যরাই কেবল সরকার গঠন করতে পারে। এর বাহিরে যাবার কোন অপশন নেই। অতীতে ১৯৯০,১৯৯৬,২০০৭ সালে অসাংবিধানিক সরকার হয়েছিল। এখন সে অবস্থা ও পরিবেশ কোনটাই নেই। এখন ছাত্ররা সরকারের কাছে নির্বাচন চাইতে পারে। সরকার চাইলে নির্বাচন দিতেও পারে। নাও দিতে পারে।  সরকারের মেয়াদ ২০২৯ সাল পর্যন্ত। তারপরও ছাত্ররা ও  তাদের মুরব্বীরা তথা যোগান দাতারা সরকারের পদত্যাগ চাইছে। সরকারের পদত্যাগের কোন সুযোগ নেই। খুব জোর আগাম নির্বাচন দিতে পারে। সে দাবীও শান্তিপূর্নভাবে করতে হবে। সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ,অগ্নি সংযোগ করে নয়। নির্বাচনে আসতে হলে,সহ-অবস্থানে আসতে হবে। তারপর নির্বাচনে ছাত্ররা ও তাদের মিএরা বেশী সংখ্যক আসন জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পারে। এটা পরিষ্কার। যারা সংবিধানের বিধান সম্পর্কে সবই জানেন। তারপরও তারা সরকারের পদত্যাগ দাবী  করে নানা নামে পদত্যাগ করে সরকারের পতন ও নয়া সরকার গঠনের কথা  বলছেন। তারা অন্যায়, অসাংবিধানিক বে-আইনী আবদার করছেন। তাদের হয়ত ধারনা  এবং বুঝবার ক্ষেত্রে একেবারে অসাড় তা বলা যাবে না। তাদের ধারনা ১৫ বছর লাগাতার আওয়ামীলীগ সরকারে। এর ফলে দল শক্তি হারিয়েছে। দৌঁড়ানী দিলে হয়ে যাবে। কিছুটা হচ্ছেও তাই। এ ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ  দলীয় এমপি ও নেতারা গত ১৫ বছর কর্মী সভা করতে হয়নি।মনোনয়ন পেয়েছে,গাড়িতে চড়ে গিয়ে এমপি হয়ে গেছে। আর কোন দায় নিতে হয়নি। দলের কর্মীদের নিয়ে ওয়ার্ড, মহল্লা, পাড়ায়, কখনো সভা সমাবেশ করতে হয়নি।যে কারনে সে অবহেলায় খেসারত বর্তমানে মূখমূখী হয়েছে। বিশ্লেষন করলে দেখা যাবে, আওয়ামীলীগের দার্শনিক নেতা কর্মীরা শেখ হাসিনাকে সামনে রেখে ঘুড়ে দাঁড়ালে দেশের অপর সকল শক্তি ঐক্য করলে ও আওয়ামীলীগকে পরাজিত করা যাবে না। সরকার ও দলের অনেক ঘাটতি আছে অনিয়ম আছে, দূর্নীতি আছে। দলের প্রতি অবহেলা আছে। এসব প্রশ্নে এখন আরো মোটা দাগে কাজ করবে না। এখন অবস্থা দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আবার ঘুরে দাঁড়াবেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।একটু ধৈয্য ধরতে হবে। এই সংকট কালে যারা পালিয়েছে তাদের মনে রাখলেই হবে।যারা নেত্রীকে কথা দিয়েছিল মাঠে নামবে বলে, তারা কিন্তু মাঠে নেই, সেই ব্যাবসায়ী ও সাংবাদিক নেতাদের কথা মনে রাখলেই চলবে। শেখ হাসিনার দার্শনিক চিন্তা সহ গণতান্ত্রিক বিধি ও সাংবিধানিক ধারা অক্ষুন্ন রাখার চিন্তা সফল হবেই।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি