মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আমলে দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন হয়েছে। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শাসন আমলে দেশের উন্নয়ন না হলেও তাদের দল ও নেতাকর্মীর উন্নয়ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার মধ্য ভদ্রঘাট স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর মাঠ প্রাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বপূর্ণ বিজয়ের স্মৃতি সৌধ ও জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের কালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রদত্ত সম্মানি ভাতা ৩ শত টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। বীর নিবাস নির্মানসহ তাদের বিভিন্ন সুবিদাধি প্রদান করা হচ্ছে। জিয়াউর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা হলেও তিনি মনে প্রাণে ছিলেন পাকিস্তানের অনুসারী। মুজিব হত্যা, পরবর্তীতে তার শাসন আমলে বিভিন্ন কু’র মধ্য দিয়ে অনেক মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাদের হত্যা করেন। সেইসাথে স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিষ্ঠিত করায় তার অবদান দেশ ও জাতি আজও ঘৃণার চোখে দেখে। আগামীতে প্রত্যেক বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর একই ভাবে করা হবে। যাতে পরবর্তী প্রজন্ম বুঝতে পারে যে এখানে চিরনিদ্রায় শায়িত আছে ৭১’এর বীর মুক্তিযোদ্ধা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. বিমল কুমার দাসের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় এমপি ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফি এমপি, জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হালিমুল হক মিরু, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজ উদ্দিন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শহিদুল্লাহ সবুজ, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন চৌধুরী, সাবেক কমান্ডার শফিকুল ইসলাম শফি, উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিনা মির্জা মুক্তি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন সুলতানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলার রহমান ফজলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী শাহাদত হোসেন ফিরোজী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহমেদ টুংকু প্রমুখ। এর আগে মন্ত্রী পলাশ ডাঙ্গায় পৌছলে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে তিনি জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।