সরকারের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছে রাশিয়ার তৈরি করোনার টিকা বাংলাদেশে আমদানি ও তৈরির বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। তবে এই চুক্তি কী ধরনের তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
এ পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওরিয়ন ফার্মা জানিয়েছে, কোভিড-১৯ টিকা ওরিয়ন ফার্মার নিজস্ব প্ল্যান্টে উৎপাদনের জন্য প্রযুক্তি সরবরাহে রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (আরডিআইএফ) সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে।
এ সংবাদের প্রভাব দেখা দিয়েছে কোম্পানিটির শেয়ারের দামে। বুধবার লেনদেন শুরু হতেই বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। তবে যাদের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার আছে তারা বিক্রি করতে চাচ্ছেন না। ফলে দফায় দফায় দাম বাড়লেও শেয়ারের বিক্রেতা উধাও হয়ে গেছে।
রাশিয়ার টিকার বিষয়ে ওরিয়ন ফার্মা কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিএসই জানিয়েছে, কোভিড-১৯ টিকা ওরিয়ন ফার্মার নিজস্ব প্ল্যান্টে উৎপাদনের জন্য প্রযুক্তি সরবরাহে রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (আরডিআইএফ) সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি ইতোমধ্যে ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক (ডিজি) এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।
ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালককে (ডিজি) ২ মে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ৪ মে জানানো হয়েছে বলে ডিএসইকে জানিয়েছে ওরিয়ন ফার্মা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ায় বুধবার লেনদেনের শুরুতেই ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার দাম বেড়ে দিনের সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে। শুরুতে ৪৯ টাকা ৯০ পয়সা করে ৫ হাজার ১২৩টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে।
এ দামে কেউ শেয়ার বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় কয়েক দফায় দাম বেড়ে ৫১ টাকা ৪০ পয়সা করে ২৭ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৫টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। তবে এ দামেও কেউ তাদের কাছে থাকা শেয়ার বিক্রি করতে চাচ্ছেন না।
ফলে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়লেও ওরিয়ন ফার্মার শেয়ারের বিক্রেতা উধাও হয়ে যায়। নিয়ম অনুযায়ী, একদিনে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ারের দাম ১০ শতাংশ বাড়তে পারবে। ৫১ টাকা ৪০ পয়সা করে শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসার মাধ্যমে কোম্পানিটির শেয়ার দাম ৯ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে গেছে।