শেরপুরঃ শেরপুরের নকলায় কৃষক আজি মিয়া হত্যা মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে আঘাতজনিত মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু দেখানোর অভিযোগ তুলেছেন নিহতের ছেলে মোশারফ হোসেন। শনিবার (২০ মার্চ ) সকালে শেরপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মোশারফ হোসেন বলেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ৭টার দিকে নকলা উপজেলার বানেশ^র্দী ইউনিয়নের বাউসা গ্রামে ছাগলে সুপারি খাওয়াকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের বাসিন্দা সজিব মিয়ার সাথে তর্ক শুরু হয়। পরে এক পর্যায়ে সজিবের পক্ষ নিয়ে ওই গ্রামের বাসিন্দা লিখন, মজিবর, ইসমাঈল, ইসাহাক গংরা একত্র হয় এবং কৃষক আজিম উদ্দিন ওরফে আজি মিয়া (৫৫) লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। এ সময় আহত হন আমার বোন আফরোজা আক্তার। পরে ঘটনার পর পুলিশ দুই নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এরপর আমার বাবার মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করে পুলিশ। সুরতহাল প্রতিবেদনে, আঘাতজনিত কারণে মৃত্যু বলে নিশ্চিত করেছিল পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য আমার বাবার মরদেহ শেরপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিš‘ আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায়, একটি কুচক্রি মহলের যোগসাজশে অর্থের বিনিময়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পরিবর্তন করে। পরিবর্তীত রিপোর্টে আমার বাবা স্ট্রোক করেছে বলে ময়নাতদন্তের রির্পোটে উল্লেখ করা হয়। অথচ আমার বাবাকে প্রকাশ্যে দিবালকে সবার সামনে লাঠি দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলে তারা। আমাদের মামলাকে অর্থের বিনিময়ে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে যা স্বাভাবিক মৃত্যু বলে দেখানো হয়েছে ময়নাতদন্তের রির্পোটে। এ ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আমার বাবা আজি হত্যার সঠিক বিচারের জন্য এখন আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। কোথায় গেলে বিচার পাবো তা নিয়ে আমি ও আমার পরিবার সন্দিহান। তাই আমি আপনাদের মাধ্যমে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। যাতে নির্বিঘ্নে আমার মামলার কার্যক্রম পরিচালিত করতে পারি এবং আমার বাবার সঠিক বিচার পাই। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থত ছিলেন স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) খাইরুল কবির সুমন বলেন, ‘আমি ভুল কোন রিপোর্ট প্রদান করিনি। আমরা যা পেয়েছি মৃতের শরীর থেকে তাই রির্পোটে দিয়েছি।’