শেরপুর ( বগুড়া) প্রতিনিধিঃ “এর আগে সরকারি রাস্তার কর্তনকৃত গাছগুলো জব্দ করা হয়েছিল। কিন্তু ইউনিয়নের নায়েব, চেয়ারম্যান, বন বিভাগ এমনকি ইউএনও পর্যন্ত দায়িত্ব নেয়নি।”
তাহলে আমাদের কি করার আছে ? উপরোক্ত কথাগুলো বলছিলেন বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ৪ নং খানপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মহির উদ্দিন।
উপজেলার খানপুর ইউনিয়নে লক্ষাধিক টাকার সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করেছে প্রভাবশালী গোলাপ হোসেন মন্ডল।
গোলাপ হোসেন খানপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মোঃ গাজিউর রহমানের ছেলে এবং খানপুর দ্বী-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কেরানিক।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) গাছগুলো কেটে রেখেছিল। আজ শুক্রবার
কেটে রাখা গাছগুলো সরিয়ে নিচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই গ্রামের আয়নাল হকের পুকুর পাড় হতে নলবাড়িয়া রাস্তার লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ১৯টি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে ভুটভুটিতে লোড দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলার সিমাবাড়ি ইউনিয়নের লাঙ্গলমোরা গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে গাছ ক্রেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ১৯টি ইউক্যালিপটাস গাছ তিনি ৫২ হাজার টাকায় ক্রয় করেছেন।
গাছগুলো রাস্তায় হওয়ায় বিক্রেতা পক্ষের সঙ্গে তার কথা হয়েছে প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হলে বিক্রেতা পক্ষ বুঝবেন।
জানার জন্য গোলাপ মন্ডলের ব্যবহৃত মুঠোফোনে বারংবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার ফোন বন্ধ থাকায় তা জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে স্থানীয় বেশ কয়েকজন এই প্রতিবেদককে জানান, এলাকাবাসীদের গোলাপ মন্ডলের পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তারা এতটাই প্রভাবশালী যে, এলাকাবাসী সেই অভিযোগ গুলোর কোনো প্রতিকার পায়না।
জানতে চাইলে খানপুর ইউনিয়নের সদস্য ৭নং ওয়ার্ড মোঃ মহির উদ্দিন বলেন, এর আগে রাস্তার কর্তনকৃত গাছ জব্দ করা হয়েছিল, কিন্তু ইউপি নায়েব, বন বিভাগ এমনকি ইউএনও পর্যন্ত সেই জব্দ করা গাছগুলোর দায়িত্ব না নেওয়ায় গাছগুলো পচে যাচ্ছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন তাহলে আমাদের কি করার আছে।
তবে ফোন রিসিভ না করায় এ বিষয়ে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পিয়ার হোসেন পিয়ারের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খান জানান, খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।