শেরপুরঃ শেরপুরে রমজানের শুরু থেকেই চড়ামূল্যে ওজনে বিক্রি হচ্ছে মৌসুমি ফল তরমুজ। এখানে প্রতিটি তরমুজের দাম বর্তমানে দ্বিগুণেরও বেশি। পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে ওজনে বিক্রি করায় দোকানিরা দ্বিগুণ লাভবান হলেও ঠকছেন সাধারণ ক্রেতারা। গরমের দিনে তৃষ্ণা নিবারণে ও শরীরকে একটু সতেজ করতে তরমুজের জুড়ি নেই। চলছে পবিত্র মাহে রমজান। সেই সাথে দিনের তাপমাত্রারাও অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। সুতরাং সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারিতে এক ফালি তরমুজ না হলে কি চলে! কিন্তু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারণে সহজলভ্য এ মৌসুমি উপাদেয় ফলটি এখন আর সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেই।
জানা যায়, শেরপুর সদরসহ জেলার সর্বত্র এই প্রথম ওজনে তরমুজ বিক্রি হওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে ভৎসা সবসময় লেগেই আছে। আর ১ কেজি তরমুজের দাম যদি ৬০ টাকা হয়, আর তা যদি হয় রমজান মাস শুরু হওয়ার আগের সময়ের চেয়ে দামে দ্বিগুণেরও বেশি তাহলে বচসা না হয়ে উপায় আছে কি? অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, জেলা শহরের নয়াআনী বাজার, রুঘুনাথ বাজার, নিউ মার্কেট- থানা মোড় সড়ক এলাকায় ফলের দোকানগুলোতে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। তাতে একটি বড় তরমুজের দাম দাঁড়াচ্ছে ৪২০ থেকে ৪৮০ টাকায়। অথচ এর আগে ৭/৮ কেজি ওজনের একটি তরমুজ বিক্রি হয়েছে মাত্র ১৭৫/২০০ টাকায়। একই অবস্থা নালিতাবাড়ি, নকলা, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা শহরগুলোতেও। ক্রেতারা বলছেন, রমজান মাসকে পুঁজি করে বেশি মুনাফার জন্য এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পিস হিসেবে তরমুজ কিনে তা কেজিতে বিক্রি করে সাধারণ ক্রেতাদের পকেট খালি করছেন। তরমুজ ব্যবসায়ীরা জানান, হঠাৎ করে পাইকারী বাজারে তরমুজের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদেরকেও বেশি দামে তরমুজ কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কিন্তু তারা যে তরমুজ কেজি হিসেবে কিনেননি এটাও অকপটে স্বীকার করেছেন।
সরেজমিনে গেলে কথা হয় ষাটোর্ধ ক্রেতা ওমর আলীর সাথে। তিনি জানান, শহরে এসেছিলাম তরমুজ কিনতে। কিন্তু ওজনে তরমুজ বিক্রি হয় এটা শুনে তো তার মাথা চড়কগাছ। তিনি আরও জানান, তরমুজের কেজি ৬০ টাকা শুনে তিনি আর তরমুজে হাত বুলাতে সাহস পায়নি। নকলা পৌরশহরের কাচারি মোড়ের ৩ জন তরমুজ ব্যবসায়ী জানান, তারা তরমুজ কিনেছেন পিস হিসেবে। কিন্তু কেজি হিসেবে বিক্রি কেন? ওই প্রশ্নের উত্তর তাদের কাছে নেই। ওই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন জেলাবাসী।