ম্যাচ শুরুর দ্বিতীয় মিনিটে ব্রাইটনের বক্সে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের আক্রমণ দিয়ে যে দ্বৈরথের শুরু, তা একই গতিতে চলল শেষ পর্যন্ত। আক্রমণ পাল্টা-আক্রমণে লড়াই হলো তুমুল। গোলের সুযোগ মিলল অসংখ্য। কিন্তু কেউ, কিছুতেই পারছিলেন না ডেডলক খুলতে। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে, যোগ করা সময়ও শেষের পথে- সেই মুহূর্তে নাটকীয় মোড়, বাজল পেনাল্টির বাঁশি। আলেক্সিস মাক আলিস্তেরের সফল স্পট কিকে দুর্দান্ত জয়ের আনন্দে ভাসল ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন।
ঘরের মাঠে বৃহস্পতিবার রাতের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতে লিগ টেবিলেও এগোলো ব্রাইটন। এক লাফে দুই ধাপ উঠে এখন তারা ষষ্ঠ স্থানে।
ম্যাচ শুরুর ৯০ সেকেন্ডের মাথায় এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পায় ইউনাইটেড। মাঝমাঠে পজেশন হারায় ব্রাইটন, ওখান থেকে থ্রু পাস বাড়ান ব্রুনো ফের্নান্দেস। দারুণ পজিশনে থেকেও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নিয়ে হতাশ করেন আন্তোনি।
বিরতির আগের কয়েক মিনিটে চাপ বাড়ায় ব্রাইটন। ৪৫তম মিনিটে তরুণ আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ফাকুন্দোর একটু বাঁকানো শটে বল দূরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে গোলশূন্য সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও পজেশনে আধিপত্য করার পাশাপাশি টানা আক্রমণ করতে থাকে ব্রাইটন। প্রথমার্ধে গোলের উদ্দেশ্যে সাতটি শট নেওয়া দলটি এই অর্ধে প্রথম ২৫ মিনিটে নেয় আরও সাত শট, কিন্তু লক্ষ্যে রাখতে পার কেবল একটি।
নির্ধারিত সময় শেষে যোগ করা পাঁচ মিনিটে বলা যায় নিজেদের বক্সের বাইরেই বের হতে পারেনি ইউনাইটেড। একের পর এক যেন তাদের ওপর আছড়ে পড়ছিল আক্রমণের ঢেউ। কোনোমতে ঘর সামলে ১ পয়েন্টের সম্ভাবনায় ভালোমতোই ছিল তারা; কিন্তু শেষ মিনিটে ওই নাটকীয়তা।
কর্নার থেকে উড়ে আসা বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে হ্যান্ডবল করে বসলেন ডিফেন্ডার লুক শ। ভিএআর মনিটরে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজালেন রেফারি। নিখুঁত স্পট কিকে দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসালেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার আলিস্তের।