ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, জুড বেলিংহামদের চেনার কোনো উপায় ছিল না। বারবার সুযোগ পাওয়ার পরও লিপজিগের বক্সে গিয়ে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারছিলেন না রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ডাররা। তবে বিরতির পর ছন্দে ফেরেন ভিনিসিয়ুস। গোলও করেন।
এদিকে প্রতিপক্ষ লিপজিগও কম ছিল না। পাল্টা গোল দিয়ে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনে। যদিও প্রথম লেগে রিয়ালের ১-০ গোলের জয় দুই লেগের ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দিলো। আর দুই লেগে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ান লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল রিয়াল।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে খেই হারিয়ে ফেলার পর যেন নিজেদের খুঁজে ফিরছিল রিয়াল। প্রতিপক্ষের মাঠ হওয়ার পর পুরো ম্যাচে দাপট দেখিয়েছে লিপজিগ। বারবার আক্রমণ করলেও পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে এই জার্মান ক্লাবটির। আক্রমণের দিক থেকে দলটি কতটা এগিয়ে ছিল, সেটি অবশ্য পরিসংখ্যানে স্পষ্ট বোঝা যাবে।
এদিকে গোল করার জন্য ২০টি শট নিয়ে ৪টি অন টার্গেটে ছিল। বিপরীতে প্রতিপক্ষ রিয়ালের শট ছিল মাত্র ১১টি। ম্যাচের প্রথমার্ধে কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করেছে লিপজিগ। তবে রিয়াল যে গোছালো কোনো আক্রমণ করতে পেরেছে, তাও নয়।
এরপরও ম্যাচের ৬৫ মিনিটে জালে বল জড়ান ভিনিসিয়ুস। এগিয়ে যায় রিয়াল। কিন্তু এই এগিয়ে যাওয়ার উচ্ছ্বাস অবশ্য বেশিক্ষণ থাকেনি তাদের। এর তিন মিনিট পরই গোল পরিশোধ করে ম্যাচে সমতা ফেরায় লিপজিগ। গোল আসে উইল ওরবান থেকে।
ম্যাচটিতে টিকে থাকার জন্য লিপজিগের আরও একটি গোল প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেটি আর হলো না। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটিতে ড্র করে লিপজিগ মাঠ ছাড়ে। আর দুই লেগে এগিয়ে থাকায় শেষ আট নিশ্চিত করে রিয়াল।