1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ অপরাহ্ন

শেষ মুহুর্তে সওজ এ মহা-লুটপাটে ব্যস্ত রফিক-ফজলু সিন্ডিকেট

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এ. কে. এম মনির হোসেন পাঠানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্তে সিদ্ধান্ত গ্রহন করায় অধিদপ্তর জুড়ে এক ধরনের ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। মূলত একটি বিশেষ সিন্ডিকেট পুরো অধিদপ্তরের টেন্ডার নিয়োগ বদলি কেনাকাটা সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রন করে থাকে। বিশেষ সিন্ডিকেটের বাহিরে কোনো প্রকার কাজ করার সুযোগ কারোর নেই।
২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে যান্ত্রিক শাখার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম অবসরে যাবেন। শেষ মুহুর্তে তিনি প্রধান প্রকৌশলী পদে আসীন হওয়ার জন্য বিশেষ তদবির চালিয়ে যাচ্ছে। জানা গেছে যে, প্রধান প্রকৌশলী হওয়ার জন্য তিনি বিরাট অংকের একটি বাজেট বরাদ্দ রেখেছেন। এ বাজেট তৈরিতে মূল ভূমিকা পালন করছে যান্ত্রিক শাখার দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের মুল হোতা অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী ফজলুল হক। দীর্ঘদিন যাবত ফজলুল হক অবসরে গেলেও প্রতিদিন তিনি অফিস করেন রফিকুল ইসলামের পাশের রুমে। কেনো- কি কারনে ফজলুর জন্য রুম বরাদ্দ তার কোনো সদুত্তর কেউ দিতে পারেনি। রফিকুল ইসলামের পরে ফজলুল হকের কথায় চলতে হয় বিভিন্ন সার্কেলের কর্মকর্তাদের। এ ব্যাপারে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে অধিদপ্তর জুড়ে। রফিকুল ইসলামের শেষ সময়ের বকেয়া বিলের কয়েক কোটি টাকার কমিশনের ভাগ-বাটোয়ারায় ব্যস্ত রফিক-ফজলু সিন্ডিকেট। আর এ টাকা দিয়েই রফিকুল ইসলাম প্রধান প্রকৌশলী পদে বসার বাজেট বরাদ্দ করেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ ব্যাপারে কথা বলতে রফিকুল ইসলাম ও ফজলুল হকের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে কেউ ফোন রিসিভ করেনি।
যান্ত্রিক শাখার একজন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধান করলেও মুল হোতা রফিক-ফজলু সিন্ডিকেট রয়েছে ধরাছোয়ার বাহিরে। তাদের বিরুদ্ধে ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগ থাকলেও  দুদক কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করছেনা। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমান করতে হলে তাদের কর্মকালীন সময়ের সমস্ত নথি পত্র দুদক কর্তৃক অনুসন্ধান চালাতে হবে। তাহলেই তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।
দীর্ঘদিন যাবৎ যান্ত্রিক শাখায় একটি বিশেষ সিন্ডিকেট সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রন করে আসছে। আর এ নিয়ন্ত্রনের নেপথ্যে রয়েছে সাবেক একজন কর্মকর্তা তিনি হলেন ফজলুল হক। উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা ফজলুল হকের কারনে সাধারন কোনো ঠিকাদার ও নির্বাহী প্রকৌশলীরা সঠিকভাবে নিয়মিত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। ফজলুল হক যান্ত্রিক শাখার সমস্ত কার্যক্রমের ক্যাশিয়ার। বর্তমান অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের ডান হাত হিসেবে খ্যাত এ ফজলুল হক। প্রকৌশলী স্বপন মৃধা, শামীমুল হক, ও ফজলু সিন্ডিকেটের হোতা। ভুয়া টেন্ডার, ঘুপচি টেন্ডার, টেকনিক্যাল স্প্যাসিফিকেশন নিয়ে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়াই এ সিন্ডিকেটের মূল কাজ।
অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে ঘিরে এ সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এরা প্রত্যেকেই অবৈধ উপায়ে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। বিভিন্ন গনমাধ্যমে রফিক-ফজলু সিন্ডিকেটের নিয়ে প্রচুর সংবাদ প্রকাশের পরেও অদৃশ্য কারনে মন্ত্রণালয়ে ও দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যকর তেমন কোনো ভূমিকা এদের বিরুদ্ধে নিতে দেখা যায়নি। যদিও রফিকুল ইসলামের একটি তদন্ত মন্ত্রণালয়ে চলমান রয়েছে। চলতি বছরের শেষের দিকে রফিকুল ইসলামের কার্যকাল মেয়াদ শেষ হবে। সর্বশেষ তিনি রয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী হওয়ার দৌড়ে। এ ব্যাপারে তিনি জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। যান্ত্রিক শাখার সংরক্ষন ডিভিশন নির্বাহী প্রকৌশলী শামীমুল হকের বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। যার বিস্তারিত থাকবে দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির পরবর্তী প্রতিবেদনে। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের এক বিশেষ নির্বাহী আদেশে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সচিব এ.বি.এম আমিন উল্লাহ নুরী’র কঠোর মনোভাবের কারনে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তার পরেও থেমে নেই এখানকার বিভিন্ন শাখার অনিয়ম ও দুর্নীতি।
মেকানিক্যাল বিভাগের ওয়ার্কশপ সার্কেল, ইকুইপমেন্ট সার্কেল, সংরক্ষন সার্কেল সহ বিভিন্ন বিভাগে ৫-৭% কমিশনের বিনিময়ে বিল দেওয়া হচ্ছে।  প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা কমিশন বাবদ ও্ ঘুপচি টেন্ডারের বিল বাবদ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। চলতি সপ্তাহেও প্রতিটি বিল প্রদানের ক্ষেত্রে নির্বাহী প্রকৌশলীগন এ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আর এ সমস্ত কিছুই নিয়ন্ত্রন করছে রফিক- ফজলু- স্বপন সিন্ডিকেট।
নির্দিষ্ট কিছু ঠিকাদার ছাড়া এখানে আর কোনো ঠিকাদাররা পূর্ববর্তী বকেয়া বিল পাচ্ছেনা। অথচ মোটা অংকের কমিশন দিলে কিছু কিছু ঠিকাদাররা সিংহভাগ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। পাহাড়সম অভিযোগ রয়েছে এ সিন্ডিকেটর বিপক্ষে,  সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের বেশ কজন কর্মকর্তা কর্মচারী থেকে শুরু করে প্রশাসনিক ব্যাক্তিও রয়েছেন জড়িত, যাদের ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস দেখায় না কেউ।
এভাবে নয়ছয় করে এবং কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন সিন্ডিকেট। গড়ে তুলেছেন বিপুল সম্পদের পাহাড়। ফজলু-শামীম-গুঞ্জন বড়ুয়ার নেতৃত্বেই চলে সওজের যান্ত্রিক শাখায় শক্তিশালী সিন্ডিকেট। কমিশন ছাড়া কোনো বিলেই সই করেন না সওজের কথিত দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম। কমিশনের একটি বড় অংশ আদায় করেন অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী ফজলুল হকের মাধ্যমে। সরকারি অর্থ অপচয় করে নিজেদের পকেটস্থ করাই তাদের মূল কাজ। দেশের সেবা করার পরিবর্তে নিজেদের আখের গোছাতেই মহাব্যস্ত তারা। রয়েছ ঘুপচে টেন্ডারের অভিযোগ,২০১২-১৩অর্থবছর থেকে বর্তমান ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত সমস্ত টেন্ডারের মালামাল ও উক্ত মালামাল ব্যবহারের ক্ষেত্র তদন্ত করলেই সকল রহস্য বেড়িয়ে আসবে। নামে, বেনামে এদের কোটি কোটি টাকার সম্পদ, আলিশান ফ্ল্যাট, প্লট, ব্যবসা বাণিজ্য, বাড়ি-গাড়ি, ব্যাংক-ব্যালেন্স রয়েছে।
মূলত ২০১২-১৩ অর্থ-বছর থেকেই দূর্নীতির মহা উৎসব চলে আসছে।
বর্তমানে রফিক সিন্ডিকেটের মোঃ শামীমুল হক একটি বিরাট অংকের নতুন ও পুরানো বিল ছাড় করানোর তোড়জোড় করছে। নিয়মানুসারে ফান্ড বরাদ্দ পাওয়ার পর টেন্ডার আহ্বান করা বিধান। কিন্তু এ ক্ষেত্রে হচ্ছে তা ব্যতিক্রম। ফান্ড বরাদ্দ পাওয়ার সাথে সাথেই ২৪ ঘন্টার মধ্যেই চেক বিতরন করা হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটু সজাগ হলেই বিপুল পরিমান অনিয়ম উৎঘাটন করা সম্ভব হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এ জাতীয় একটি বড় বরাদ্দ ভাগবাটোরা করার পায়তারা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। একই প্রক্কলনের ভিতর একই আইটেম বারবার পাশ করা হয়েছে তার তথ্য প্রমান রয়েছে দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির কাছে। এ থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, একটি নির্দিষ্ট সিন্ডিকেট (ঠিকাদার ও কর্মচারী-কর্মকর্তা) মিলে অনিয়মের বীজ বপন করেছে। উল্লেখ্য যে, যে পরিমান ফান্ড বরাদ্দ হয়েছে এবং সে পরিমান মালামাল সংরক্ষণ বিভাগে মজুদ রয়েছে কিনা তা যাচাই করলেই সমস্ত তথ্য ও অনিয়মের থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে। অনুসন্ধানে

আরও জানা গেছে, টেকসই মহাসড়ক নির্মাণ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির অ্যাসফল্ট প্ল্যান্ট, সরঞ্জাম এবং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ শীর্ষক প্রকল্পে দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ৫০ কোটি টাকার কাজ বাংলা ট্র্যাক লি. (লোকাল এজেন্ট) এবং বিটিও, সিঙ্গাপুর মূল ম্যানুফেকচারার এর টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন নিয়ে ৬টি কাজের মধ্যে ৪টি কাজই প্রদান করে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলুল হকের মাধ্যমে লোকাল এজেন্টের কাছ থেকে বড় ধরনের অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করেন প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম। এলওসি-এর সমস্ত কাজ রফিক-ফজলু ঠিকাদারের সাথে স্পেসিফিকেশন নির্দিষ্ট করেন। যাতে অন্য ঠিকাদাররা ডিসকোয়ালিফাই হন তার ব্যবস্থা নিয়ে একই ব্যক্তির মাধ্যমে যে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন তা সওজের সবার মুখে মুখে।
অভিযোগ রয়েছে, অর্থনৈতিক কোডের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ৫ বছরের পুরানো বিল চলতি আর্থিক বছরের টাকা থেকে চেক প্রদান করতে কারখানা বিভাগ, ঢাকার নির্বাহী প্রকৌশলী গুঞ্জন বড়ুয়াকে মৌখিক নির্দেশ দেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম। জানা গেছে, ভারতীয় ক্রেডিট লাইনের আওতাভুক্ত সকল যান্ত্রিক সরঞ্জামাদি সাপ্লাইয়ারকে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ বিভাগ, ঢাকায় পৌঁছে দেওয়ার কথা থাকলেও GD: ০৫, ১১, ১৪, ১৭, ১৯ ও ২৩ এর মাধ্যমে আনয়নকৃত মালামাল পোর্ট থেকে সিএন্ডএফ এজেন্টকে অন্যায়ভাবে সরকারি টাকা দিয়ে চট্টগ্রাম স্টেক ইয়ার্ডে আনয়ন এবং বিভিন্ন জোনকে খরচ দিতে বাধ্য করেন প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম। নামমাত্র ইনস্পেকশন করিয়ে টাকা ছাড় দিয়ে দেন তিনি। অথচ উক্ত ইনস্পেকশন কমিটি এলওসি’র জন্য করা হয়নি। দরপত্র বিজ্ঞপ্তি নং–02/ACE-RHD/MW-DK/2017-18, তাং-২০-১১-১৭ইং এর মাধ্যমে সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স আজমিরি ইন্টারন্যাশনাল-কে নিয়োগ করা হয়েছিল তাকে জুলাই/২০২০ থেকে জুন ২০২১ পর্যন্ত আইনবহির্ভূতভাবে সময় বর্ধিত করেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম। এলওসি-২ এর অধীন সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি সংগ্রহকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রফিকুল ইসলাম সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আগত মালামাল নির্ধারিত পূর্বের ঠিকাদারের মাধ্যমে ছাড় করান।

পরবর্তীতে তিনি জুলাই/২০২১ থেকে এপ্রিল/২০২২ পর্যন্ত টেন্ডার না করিয়ে সময় বর্ধিত করেন এবং একই ঠিকাদারের মাধ্যমেই কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করেন। যার ফলশ্রুতিতে নির্বাহী প্রকৌশলী সওজ, সংগ্রহ ও সংরক্ষণ বিভাগ, তেজগাঁও, বিভাগের স্মারক নং-৯৯৮, তাং-০৫-১০২০২১এর মাধ্যমে ২টি রিগ মেশিন ছাড় করার। এছাড়া আরও অনেক মালামাল ছাড় করানো হয়েছে। এছাড়াও আইন ও ক্ষমতাবহির্ভূতভাবে সকল প্রকার আর্থিক অনিয়মের কাজ করার জন্য প্রকৌশলী স্বপন কুমার মৃধাকে নিজের পিএস হিসেবে নিযুক্ত করেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম। যার স্মারক নং-১০২৭(১১), তাং-২৮-১০-২০২১।

সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন কুমার মৃধার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ২৫ কোটি ৯৩ লাখ ৮৯ হাজার ২৫৩ টাকার মোট ২৫টি অডিট আপত্তি রয়েছে বলে জানা গেছে। যেগুলোর একটিও নিষ্পত্তি হয়নি। ০৯ কন্ট্রাক্টে সর্বনিম্ন ২৫ টন হেভীওয়েট টায়ার ক্রেনের পরিবর্তে সর্বোচ্চ ২৫ টন টায়ার ক্রেন সংগ্রহ করে সরকারের কোটি কোটি টাকা লোপাট করেন প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম।
দেশের সব সড়ক-সেতু নির্মাণ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৫৮৫ কোটি ভারতীয় ঋণের টাকায় প্রায় ৪০০ ট্রাক কিনেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। কিন্তু এসব ট্রাকের জন্য প্রয়োজনীয় চালক পর্যন্ত নেই। এ ছাড়াও এ প্রকল্পের আওতায় এক্সক্যাভেটর, বুলডোজার, ট্রলি, অ্যাসফাল্ট প্ল্যান্ট, কম্প্রেসর ট্রলি, হাইড্রোলিক বিম লিফটার, মোটর গার্ডার, রিগ মেশিনসহ ৮৫০টি নির্মাণযন্ত্র কিনেছে সওজ। কিন্তু এসব যন্ত্র পরিচালনার জন্য কোনো অপারেটর নেই সংস্থাটির। জনবলের সংস্থান না রেখে এ ধরনের যন্ত্রপাতি কেনায় এগুলো ব্যবহার করতে পারছে না সংস্থাটি। আবার সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় নির্মাণযন্ত্রগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা উঠে এসেছে সওজের শীর্ষ ব্যবস্থাপনা কমিটিতে।

দুদক সূত্রে জানা যায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর কমিশনার ডক্টর মোজাম্মেল হোসেন খান বলেন, ইতোমধ্যে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তার বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও কঠোর নজরদারি বাড়ানো হবে।

• শেষ মূহুর্তে মহা লুটপাটে ব্যস্ত রফিক-ফজলু সিন্ডিকেট।
• সিন্ডিকেটের ব্যাপারে প্রধান প্রকৌশলী অবগত।
• বিভিন্ন বিভাগের কর্মকান্ডে নজরদারি বাড়িয়েছে দুদক।
• ৭ দিনের তদন্ত রিপোর্ট ২ মাসেও আলোর মুখ দেখেনি।
• তদন্ত ধামাচাপা দিতে মরিয়া সিন্ডিকেট।
• সিন্ডিকেটের কবলে নিষ্পেষিত সাধারন ঠিকাদারগন।
• পন্য না কিনেও ঘুপচি বিজ্ঞাপনে আত্মসাৎ কোটি কোটি টাকা।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি