হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলো। যোগ করা সময়ে রীতিমত গরম হয়ে উঠলো মাঠ। দুই দলের তিন ফুটবলার লাল কার্ড দেখলেন, এমন উত্তেজনার মধ্যেই বার্সেলোনাকে শেষ মুহূর্তে বাঁচিয়ে দিলেন লুক ডি ইয়ং।
ইয়ংয়ের গোলে ‘নিশ্চিত’ হারের মুখ থেকে একটি পয়েন্ট নিয়ে ফিরেছে জাভি হার্নান্দেজের দল। আরসিডিই স্টেডিয়ামে রোববার রাতে বার্সেলোনা ও এস্পানিওলের মধ্যকার লা লিগার ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে।
প্রায় ১৫ বছর পর লা লিগায় বার্সেলোনার বিপক্ষে জয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিল এস্পানিওল। কিন্তু ইয়ং শেষ মুহূর্তে তাদের সেই স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছেন।
ম্যাচের ৭৪ সেকেন্ডে পেদ্রির গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। জর্ডি আলভা বক্সের মধ্যে খুঁজে পান অরক্ষিত পেদ্রিকে। সামনে থেকে শটে গোল করেন পেদ্রি।
প্রথমার্ধে ৪০ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরান সার্জি দারদার। ডি থমাসের পাস পেয়ে ডান পায়ের শটে টার স্টেগানকে পরাস্ত করেন এস্পানিওলের মিডফিল্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৭ মিনিটে ফের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল বার্সার সামনে, গাভি জালে বলও জড়িয়েছিলেন। কিন্তু অফসাইডের পতাকা তুলে দেন লাইন্সম্যান।
৭ মিনিট পরই এস্পানিওলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান রাউল ডি থমাস। দারদারের অ্যাসিস্টে পোস্টের বাঁ দিকের ওপর কোনা দিয়ে বল জালে জড়ান এই স্ট্রাইকার।
২-১ গোলে এগিয়ে থেকেই নির্ধারিত সময় শেষ করে স্বাগতিকরা। কিন্তু যোগ করা সময়ে এসে বাঁধে বিপত্তি। দ্বিতীয় মিনিটে জেরার্ড পিকের সঙ্গে ঠুকোঠুকি লেগে যায় মিকো মেলামেন্ডের। দুইজনকেই লাল কার্ড দেখান রেফারি।
এর মিনিট তিনেক পরই (যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে) সমতা ফেরান ইয়ং। ত্রাওরের পারফেক্ট ক্রস থেকে দারুণ হেডে এস্পানিওল গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন বার্সা স্ট্রাইকার।
ওই গোলের পরপরই আরেকটি লাল কার্ড দেখে স্বাগতিকরা। এবার সাইড বেঞ্চ থেকে চেঁচামেচি করে লাল কার্ড পান এস্পানিওল মিডফিল্ডার মেনু মরলানেস।
এই ড্রয়ের পর ২৩ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে চারে বার্সেলোনা। ২৪ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৩ নম্বরে এস্পানিওল। সমান ম্যাচে ৫৪ পয়েন্টে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ।