সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৪ জনের মধ্যে ৯ জনের বাড়িই সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে।
সড়ক দুর্ঘটনায় একসঙ্গে এতোজনের মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ হাওর ভাটির বৃহৎ এই গ্রাম। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে গ্রামের চারপাশ। নিহতদের দাফনের আয়োজন করছেন স্বজনরা।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুর রহমান তালুকদার বলেন, আমাদের ভাটিপাড়া একটি বড় গ্রাম। আমাদের গ্রামের বিভিন্ন পাড়ার ৯ জন মারা গেছেন। পেশায় তারা সবাই ছিলেন নির্মাণ শ্রমিক।
তিনি জানান, নিহতদের একজন রশিদ মিয়া। স্বামীর মৃত্যুর খবরে স্ত্রী রাছিফা বেগম বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। তার দুই শিশুপুত্র ও একজন কন্যা সন্তান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রশিদ মিয়ার আয়ে চলত ৫ সদস্যের পরিবারটি। সংসারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন তারা।
ভাটিপাড়া গ্রামের অন্যান্য নিহতরা হলেন, মো. সিজিল মিয়া (৫৫), একলিম মিয়া (৫৫), হারিছ মিয়া (৬৫), সৌরভ মিয়া (২৭), সাজেদুর (৬০), বাদশা মিয়া (৩০), সাধু মিয়া (৫০), ও মেহের (২৫)। এছাড়াও সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শাহীন মিয়া (৪০), দুলাল মিয়া (২৬) ও আওলাদ হোসেন (৫০) মর্মান্তিক এই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।
উল্লেখ্য, বুধবার ভোরে পিকআপ ভ্যানে করে সিলেট শহরের আম্বরখানা থেকে অন্তত ৩০ জন নির্মাণ শ্রমিক ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারে যাচ্ছিলেন। পথে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজারে ট্রাকের সঙ্গে পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হন।