শেরপুর : শেরপুরের শ্রীবরদীতে শারিরীক প্রতিবন্দি মেয়েকে নিয়ে জরমন সাংমার দিনকাটে অনাহারে অর্ধাহারে। জরমন সাংমা (৮০) উপজেলার রানিশিমুল ইউনিয়নের বালিজুরি খ্রিষ্ঠানপাড়া গ্রামের মৃত দিনেশ মারাকের স্ত্রী। মেয়ে ফুলমনি সাংমা (২৫) শারিরীক প্রতিবন্দি। সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই তাদের। থাকার ঘরটি ও বসবাসের অনুপযোগী। ফুল মনি সাংমা প্রতিবন্দীতার কারনে কোনো কাজ কর্ম করতে পারেন না। মা জরমন সাংমা বয়সের ভারে নুইয়ে পরেছেন। তিনি শারিরীক অক্ষম হলেও ২ সদস্যের পরিবারের জীবন জীবিকার তাগিদে তাকে পাহাড়ে লাকড়ি সংগ্রহের জন্য যেতে হয়। প্রতিদিন পাহাড়ে লাকড়ি সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রিকরে যা পায় তা দিয়ে কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে কাটে তাদের দিন। একদিন পাহাড়ে লাকড়ি সংগ্রহ করতে না পারলে সেদিন তাদের থাকতে হয় অনাহারে অর্ধাহারে। কথা হয় মা মেয়ে দু জনের সাথে। তাঁরা জানান, এ যাবৎ তাদের ভাগ্যে জুটেনি সরকারি কোনো সাহায্য সহায়তা। জরমনি সাংমা বলেন স্হায়ীয় ইউপি সদস্য জহুরুলের কাছে তার মেয়ের নামে একটি ভিজিডি ও প্রতিবন্দী ভাতার কার্ড চেয়ে বহুবার আবেদন নিবেদন করলেও টাকা দিতে না পারায় তাদের ভাগ্যে জুটেনি কোন কার্ড। বর্তমানে জরমন ও ফুল মনি সাংমার দিনকাটে অনাহারে অর্ধাহারে। অভাবের তাড়নায় প্রতিবন্দি মেয়েকে নিয়ে জরমন সাংমা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।
শ্রীবরদী উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ওই গ্রামের বিহার জাম্বিল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন পরিবারকে সহায়তার জন্য গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় স্হানীয় জনপ্রতিনিধির নিকট অনেক সুপারিশ ও করা হয়েছে। কিন্তু কোন কাজে আসেনি। এবিষয়ে ইউপি সদস্য জহুরুল হকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
রানিশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ রানা বলেন পরবর্তীতে বরাদ্দ এলে তাদের দেয়া হবে। শ্রীবরদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা আক্তার ওই পরিবারকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।