ষষ্ঠ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু এবং সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) এর সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
তিনি বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ের যে তথ্য পেয়েছি, তাতে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কোনও অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি। সুষ্ঠু এবং সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কোনও কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়নি।
ভোট পড়ার হার কম হবার কারণ নিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘দেশে প্রচণ্ড শীত পড়ার কারণে ভোট পড়ার হার কম হতে পারে। ’
তিনি বলেন, ‘দেশে প্রচণ্ড শীত পড়েছে, তার কারণেও ভোট পড়ার হার কম হতে পারে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে ধীরগতি ছিল। এতে ভোট কম পড়েছে। ৫৫ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। ’
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যালট পেপারে ভোট বেশি পড়লেও ইভিএমে কম পড়ার কারণ জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘দেশে প্রচণ্ড শীত পড়েছে, তার কারণে ভোট পড়ার হার কম হতে পারে। আমরা নির্বাচনের আগে মক ভোট নেই। প্রত্যাশা থাকে ভোটাররা আসবেন। কিন্তু তারা অনেকে আসেন না। আমাদের সম্মানিত মা-বাবা যারা থাকেন, তারা ভোট দিতে এলে বোঝাতে সময় লেগে যায়। ফলে বাইরে দীর্ঘ লাইন হয়। এই কারণে অনেক মা হয়তো ভোট না দিয়েই ফেরত চলে যান। ’
ভোটাররা যাতে অপেক্ষা করেন, ফেরত না যান সেজন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা মাঠ পর্যায় মতামত চেয়েছি। এছাড়া টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে এক সপ্তাহের মধ্যেই বৈঠকে বসবো। কীভাবে ইভিএমে ভোটগ্রহণের গতি বাড়ানো যায় তা নিয়ে বসবো। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেটা দেখেছি, অনেক জায়গায় কাগুজে ব্যালটের পরিবর্তে নির্বাচনে ইভিএম চেয়েছে। এতে এনআইডি ও আঙ্গুলের ছাপ না মিললে কোনোভাবেই ভোট দেওয়া যায় না। এই কারণে মাঠ কর্মকর্তাদের ইভিএমের প্রতি ঝোঁক বেশি। কাগুজে ব্যালটের ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ। ইভিএমে প্রক্রিয়া বেশি। তবে মেশিনে কোনও জটিলতা নেই। ’
এ সময় ইসি’র অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, যুগ্ম-সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান ও যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।