নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখার পরিবর্তে বিএনপি ষড়যন্ত্র ও লুটপাটের রূপরেখা চূড়ান্ত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘দুর্নীতির বরপুত্র, খুনি, পলাতক আসামি’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেছেন, তারেক রহমানের প্রেসক্রিপশনে প্রণীত কোনো ‘রূপরেখা’ নিয়ে জাতির আগ্রহ নেই। পেছনের দরজা দিয়ে তাদের ক্ষমতা দখলের দিবাস্বপ্ন দেশের জনগণ পূর্ণ হতে দেবে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত প্রতিহত করবে।
আজ মঙ্গলবার (২৭ জুন) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের ‘তথাকথিত নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা’ নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বৈরতন্ত্রের গর্ভে জন্ম নেওয়া বিএনপির অপরাজনীতি ও অশুভ তৎপরতা কেবল ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের কক্ষপথেই পরিচালিত হয়। দেশ ও জনগণের কল্যাণচিন্তা বিএনপি কখনো ধারণ করে না। বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দুর্নীতি ও লুটপাটের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। সেই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে তারা ষড়যন্ত্র ও লুটপাটের রূপরেখা চূড়ান্ত করেছে।
তিনি বলেন, তথাকথিত ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’-এর নামে হাওয়া ভবন-খোয়াব ভবনের দুর্নীতি-লুটপাট এবং একুশে আগস্টের মতো নৃশংস হত্যাযজ্ঞ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের সেই ভয়াবহ যুগে ফিরে যাওয়ার কোনও রূপরেখাকে সমর্থন দেবে না দেশের জনগণ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল কিংবা বিএনপি ঘোষিত আন্দোলনের নামে তথাকথিত যৌথ ঘোষণা ও ‘অল-আউট আন্দোলন’ জনগণের সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছু না। তাদের আন্দোলনের হুমকি-ধমকি আষাঢ়ের তর্জন-গর্জন ছাড়া কিছু নয়। ঈদের পর, বর্ষার পর, পরীক্ষার পর তাদের আন্দোলনের অনেক হুমকি-ধমকি জনগণ দেখেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বিএনপির কাল্পনিক গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টির আহ্বান বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের গণঅভ্যুত্থান ও আন্দোলন হলো আগুন সন্ত্রাস ও অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা এবং স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত করা। আগামীতে তথাকথিত অভ্যুত্থান সৃষ্টির নামে অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যার অপরাজনীতি জনগণ প্রতিহত করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের কাছে বারবার প্রত্যাখ্যাত বিএনপি বরাবরের মতোই ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে লিপ্ত রয়েছে। বিএনপির ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার হলো দেশের বিরুদ্ধে বদনাম করা ও কুৎসা রটানো এবং কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন অভিযোগ-মিথ্যাচারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতাদের চরিত্র হনন; দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত ও পাচারকৃত মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে দেশবিরোধী অপপ্রচার চালানো।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো প্রকার হত্যা-ক্যু ব্যতিরেকেই বাংলাদেশের জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র পরিচালিত হবে দেশের জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী। বাংলাদেশের ভোটাররা ঠিক করবে কে ক্ষমতায় আসবে আর কে আসবে না।