সংবিধানে ৭ই মার্চের ভাষণে ৯২টি ভুল, এটা শুনে বিস্মিত না, লজ্জা পাবেন, সেটাই বুঝতে পারছেন না বিশিষ্ট ব্লগার-ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদার। একাত্তর টেলিভিশনের টকশোতে আরো উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু গবেষক; তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মমতাজুল ফেরদৌস জোয়ার্দার, সাংবাদিক জ ই মামুন ও সাংবাদিক পারভেজ রেজা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন মিথিলা ফারজানা ।
ভিডিও ক্লিপটি নিচে দেওয়া হলো :
ইতোপূর্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষনের ভুল নিয়ে একটি তথ্যভিত্তিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলো একটি প্রভাশালী গণমাধ্যম। সেই প্রতিবেদনটি নিচে দেওয়া হলো:
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বেলিত হয়ে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। প্রায় ১৮ মিনিটের বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। অথচ সেই ভাষণই সংবিধানে ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। যার কারণে পাঠ্যপুস্তকেও বঙ্গবন্ধুর ভাষণেও ভুল রয়ে গেছে।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ:
১. রিকশা, ঘোড়া গাড়ি চলবে, রেল চলবে (৯.৪৯ সেকেন্ড উল্লেখ আছে), ২. জনগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর (৮.৩১ সেকেন্ড), ৩. অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক মুক্তি পাবে (১.৪৮ সেকেন্ড), ৪. বিদেশের সঙ্গে নিউজ পাঠাতে হলে আপনার চালাবেন (১৩.১১ সেকেন্ড), ৫. বাঙালিরা বুঝে-শুনে কাজ করবেন (৮.৩১ সেকেন্ড), ৬. আমি পরিষ্কার মিটিংয়ে বলেছি, এবারের সংগ্রাম আমার মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম (১.৩৪ সেকেন্ড), ৭. শোনেন মনে রাখবেন শত্রু বাহিনী ঢুকেছে (১২.১১ সেকেন্ড), ৮. নির্বাচনের পরে বাংলাদেশের মানুষ (১.২৪ সেকেন্ড), ৯. আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় (১.৫৫ সেকেন্ড), ১০. আমরা গদিতে বসতে পারি নাই (২.২০ সেকেন্ড), ১১. সমস্ত দোষ তিনি আমার ওপরে দিয়েছেন (৭.২৭ সেকেন্ড), ১২.খাজনা ট্যাক্স বন্ধ করে দেওয়া হলো (১২. ৭ সেকেন্ড), ১৩. পশ্চিম পাকিস্তানের থেকে এখানে আসলেন (৫.৩ সেকেন্ড), ১৪. ভুট্টো সাহেব বললেন, তিনি যাবেন না (৪.৫৯ সেকেন্ড), ১৫. তাকে মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে (৪.৩১ সেকেন্ড), ১৬. তারপরে হঠাৎ ১ তারিখে অ্যাসেম্বলি বন্ধ করে দেওয়া হলো (৪.৪৭ সেকেন্ড), ১৭. মার্শাল ল’ জারি, ১৮. ১৯৬৬ সালে ৬ দফার আন্দোলনে সাতই (২.৩৪ সেকেন্ড), ১৯. তারপরে অনেক ইতিহাস হয়ে গেল (২.৫৫ সেকেন্ড), ২০. তারপরে অন্যান্য নেতৃবৃন্দ তাদের সঙ্গে আলাপ করলাম (৪.১৪ সেকেন্ড), ২১. আমি তো অনেক আগেই বলেছি কিসের আরটিসি কার সঙ্গে বসবো? (৭.০৬ সেকেন্ড), ২২. হঠাৎ আমার সঙ্গে পরামর্শ না করে (৭.১৪ সেকেন্ড), ২৩. পাঁচ ঘণ্টা গোপনে বৈঠক করে (৭.২০ সেকেন্ড), ২৪. আমি ১০ তারিখে বলে দিয়েছি (৭.৫৬ সেকেন্ড), ২৫. এরপূর্বে অ্যাসেম্বলিতে বসা, আমরা অ্যাসেমব্লিতে বসতে আমরা পারি না (৮.৪৮ সেকেন্ড), ২৬. তারপরে বিবেচনা করে দেখবো (৮.৪১ সেকেন্ড), ২৭. এই বাংলাদেশে কোর্ট-কাচারি, ২৮. সেমি-গভর্নমেন্ট দফতরগুলো ওয়াপদা (১০.০২ সেকেন্ড), ২৯. এরপরে যদি বেতন দেওয়া না হয় (১০.১৪ সেকেন্ড), ৩০. আর যদি আমার লোকদের হত্যা করা হয় (১০.২২ সেকেন্ড), ৩১. যে সমস্ত শ্রমিক ভাইয়েরা যোগদান করেছেন (১১.৪৮ সেকেন্ড), ৩২. প্রত্যেকটা শিল্পের মালিক (১১.৫১ সেকেন্ড), ৩৩. সরকারি কর্মচারীদের বলি, ৩৪. তাহলে কোনও বাঙালি (১২.৩৭ সেকেন্ড), ৩৫. কোনও বাঙালি টেলিভিশনে যাবেন না (১২.৪৬ সেকেন্ড), ৩৬. হিন্দু-মুসলমান বাঙালি নন-বাঙালি যারা আছে (১২.২০ সেকেন্ড), ৩৭. আমার এই দেশের মুক্তি না হবে (১২.০৪ সেকেন্ড), ৩৮. যাতে মানুষ তাদের মাইনাপত্র নেবার পারে (১২.৫৪ সেকেন্ড), ৩৯. কিন্তু পূর্ব বাংলা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে (১২.৫৬ সেকেন্ড), ৪০. আরও আলোচনা হবে, ৪১. আমরা বললাম ঠিক আছে আমরা অ্যাসেমব্লিতে বসবো (৩.৪১ সেকেন্ড), ৪২. বন্ধ করে দেওয়ার পরে (৫.১৩ সেকেন্ড), ৪৩. আপনারা হরতাল পালন করেন (৫.১৯ সেকেন্ড), ৪৪. যা আমার পয়সা দিয়ে, ৪৫. আমরা বাঙালিরা যখনই ক্ষমতা যাবার চেষ্টা করেছি (৫.৫৯ সেকেন্ড), ৪৬. টেলিফোনে আমার সঙ্গে তার কথা হয় (৬.৩৮ সেকেন্ড), ৪৭. ওই শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে পাড়া দিয়ে (৭.৫৭ সেকেন্ড), ৪৮. সেইজন্য সমস্ত অন্যান্য (৯.৪১ সেকেন্ড), ৪৯. আপনারা আসুন, বসি (৪.১৮ সেকেন্ড), ৫০. আমরা আলাপ করে শাসনতন্ত্র তৈরি করি (৪.২০ সেকেন্ড)।
সংবিধান ও পাঠ্যপুস্তকে বঙ্গবন্ধু ভাষণ যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে:
১. রিকশা, গরুর গাড়ি, রেল চলবে ২. জনগণের প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর, ৩. অর্থনীতি, রাজনীতি, সাংস্কৃতিক মুক্তি পাবে, ৪. বিদেশের সঙ্গে দেওয়া-নেওয়া চলবে না, ৫. বাঙালিরা বুঝেসুঝে কাজ করবেন, ৬. এই অংশ পাঠ্যপুস্তক বা সংবিধানে মুদ্রণ করা হয়নি, ৭. শুনুন মনে রাখবেন শত্রু বাহিনী ঢুকেছে, ৮. নির্বাচনের পর বাংলাদেশের মানুষ, ৯. আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, ১০. আমরা গদিতে বসতে পারিনি, ১১. তাতে সমস্ত দোষ তিনি আমার ওপর দিয়েছেন, ১২. ততদিন খাজনা ট্যাক্স বন্ধ করে দেওয়া হলো, ১৩. পশ্চিম থেকে এখানে আসলেন, ১৪. ভুট্টো বললেন তিনি যাবে না, ১৫. তাকে মেরে ফেলা হবে, ১৬. তারপর হঠাৎ ১ তারিখে অ্যাসেম্বলি বন্ধ করে দেওয়া হলো, ১৭. মার্শাল ল’ জারি, ১৮. ১৯৬৬ সালে ৬ দফার আন্দোলনে ৭ জুনে, ১৯. তারপর অনেক ইতিহাস হয়ে গেল, ২০. তারপর অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করলাম, ২১. আমি তো অনেক আগেই বলে দিয়েছি কিসের রাউন্ড টেবিল কার সঙ্গে বসবো, ২২. হঠাৎ আমার সঙ্গে পরামর্শ না করে, ২৩. পাঁচ ঘণ্টা গোপন বৈঠক করে, ২৪. আমি ১০ তারিখে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ২৫. এরপূর্বে অ্যাসেম্বলিতে বসতে আমরা পারি না, ২৬. তারপর বিবেচনা করে দেখবো, ২৭. এই বাংলাদেশে কোট-কাচারি, ২৮. সেমি-গভর্নমেন্ট দফতর ওয়াপদা, ২৯. এরপর যদি বেতন দেওয়া না হয়, ৩০. আর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয়, ৩১. যে সমস্ত শ্রমিক ভাইয়েরা যোগদান করেছে, ৩২. প্রত্যেক শিল্পের মালিক, ৩৩. সরকারি কর্মচারীদের বলি, ৩৪. তাহলে কোনও বাঙালি, ৩৫. কোনও বাঙালি টেলিভিশনে যাবেন না, ৩৬. হিন্দু-মুসলমান বাঙালি অবাঙালি যারা আছে, ৩৭. আমার এই দেশের মুক্তি না হচ্ছে, ৩৮. যাতে মানুষ তাদের মাইনেপত্র নিতে পারে, ৩৯. পূর্ব বাংলা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে, ৪০. আরও আলোচনা হবে, ৪১. আমি বললাম ঠিক আছে আমরা অ্যাসেম্বলিতে বসবো, ৪২. বন্ধ করার পর, ৪৩. আপনারা হরতাল পালন করুন, ৪৪. যা আমরা পয়সা দিয়ে (৫.৪০ সেকেন্ড), ৪৫. আমরা বাঙালিরা যখনই ক্ষমতায় যাবার চেষ্টা করেছি, ৪৬. টেলিফোনে আমার সাথে তার কথা হয়, ৪৭. ওই শহীদের রক্তের ওপর পাড়া দিয়ে, ৪৮. সেজন্য সমস্ত অন্যান্য, ৪৯. আপনারা আসুন বসুন, ৫০. আমরা আলাপ করে শাসনতন্ত্র তৈরি করবো।
ভাষণের সঠিক অংশ হবে:
১. ঘোড়া গাড়ি চলবে, ২. কাছে ৩. অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ৪. বিদেশের সঙ্গে নিউজ পাঠাতে হলে আপনারা চালাবেন, ৫. বাঙালিরা বুঝে-শুনে, ৬. এই অংশ পাঠ্যপুস্তক বা সংবিধানে মুদ্রণ করা হয়নি, ৭. শোনেন, ৮. পর, ৯. সঙ্গে, ১০. নাই, ১১. তাতে শব্দটি অতিরিক্ত যোগ করা হয়েছে। ‘উপর’ শব্দটি ওপরে হবে ১২. ‘ততদিন’ শব্দটি অতিরিক্ত যোগ করা হয়েছে ১৩. ‘পাকিস্তান’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়েছে, ১৪. ‘সাহেব’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়েছে, ১৫. ‘দেওয়া’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়েছে, ১৬. ‘তারপরে’, ‘অ্যাসেম্বলি’ ও ‘দেওয়া’ হবে, ১৭. সঠিক বানান ‘জারি’, ১৮. সাতই, ১৯. তারপরে, ২০. তারপরে অন্যান্য নেতৃবৃন্দ তাদের সঙ্গে আলাপ করলাম, ২১. আমি তো অনেক আগেই বলেছি কিসের আরটিসি কার সঙ্গে বসবো?, ২২. সঙ্গে, ২৩. ‘গোপনে’ হবে, ২৪. বলে দিয়েছি, ২৫. এরপূর্বে এরপূর্বে অ্যাসেম্বলিতে বসা, আমরা অ্যাসেমব্লিতে বসতে আমরা পারি না, ২৬. তারপরে ২৭. ‘কাচারি’ হবে ২৮. দফতরগুলো, ২৯. এরপরে, ৩০. লোকদের, ৩১. করেছেন, ৩২. প্রত্যেকটা, ৩৩. সরকারি, ৩৪. বাঙালি, ৩৫. বাঙালি, ৩৬. বাঙালি, নন-বাঙালি, ৩৭. হবে, ৩৮. মাইনাপত্র নেবার, ৩৯. ‘কিন্তু’ শব্দ বাদ পড়েছে ৪০. আরও, ৪১. আমরা, অ্যাসেমব্লিতে বসবো, ৪২. বন্ধ করে দেওয়ার পরে, ৪৩. করেন, ৪৪. ‘যা’ শব্দটি যোগ করতে হবে, ৪৫. বাঙালিরা, ৪৬. সঙ্গে, ৪৭. ওপর, দিয়ে ৪৮. সেইজন্য, ৪৯. বসি, ৫০. করি।
ঐতিহাসিক ভাষণে যুক্ত হয়নি যেসব লাইন বা তথ্য:
১. আপনারা জানেন, দোষ কী আমাদের আজকে তিনি (২.৫৯ সেকেন্ড), ২. আপনারা জানেন আলাপ-আলোচনা করেছি (৩.১০ সেকেন্ড), ৩. তিনি মেনে নিলেন (৩.৩৫ সেকেন্ড), ৪. আমরা আলাপ-আলোচনা করবো (৩.১০ সেকেন্ড), ৫. তারপরও যদি কেউ আসে, তাকে ছন্নছাড় করা হবে (৪.৪১ সেকেন্ড), ৬. আমরা পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু (৫.৫৭ সেকেন্ড), ৭. যখনই এদেশের মালিক হবার চেষ্টা করেছি (৬.০৫ সেকেন্ড), ৮. তারা আমাদের ভাই, আমি বলেছি তাদের কাছে একথা, যে আপনারা কেন? আপনার ভাইয়ের বুকে গুলি মারবেন। আপনাদের রাখা হয়েছে যদি বহিঃশক্র আক্রমণ করে, তার থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য। তারপরে উনি বললেন, যে আমার নামে বলেছেন, আমি নাকি বলে স্বীকার করেছি, যে ১০ তারিখে রাউন্ড টেবিল কনফারেন্স হবে। আমি উনাকে এ কথা বলে দেবার চাই, আমি তাকে তা বলি নাই (৬.১০ সেকেন্ড), ৯. ঢাকায় আসেন (৬.৪৭ সেকেন্ড), ১০, তারপরে আপনি ঠিক করুন (৭.০১ সেকেন্ড), ১১. আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে (৭.১৮ সেকেন্ড), ১২. এবং যে বক্তৃতা অ্যাসেম্বলি করেছেন (৭.২৫ সেকেন্ড), ১৩. ভালো হবে না (১১.১২ সেকেন্ড), ১৪. তবে অনুরোধ করছি, আপনারা আমাদের ভাই, আপনারা দেশকে একেবারে জাহান্নামে ধ্বংস করে দিয়েন না। জীবনে আর কোনোদিন আপনাদের মুখ দেখা দেখি হবে না। যদি আমরা শাস্তিপূর্ণভাবে আমাদের ফয়সালা করতে পারি, তাহলে অন্ততপক্ষে ভাই ভাই হিসেবে বাস করার সম্ভাবনা আছে। সেইজন্য আপনাদের অনুরোধ করছি, আমার এই দেশে, আপনারা মিলিটারি শাসন চালাবার চেষ্টা করবেন না (১৪.২২ সেকেন্ড), ১৫. দ্বিতীয় কথা, প্রত্যেক ইউনিয়নে, প্রত্যেক সাব ডিভিশনে (১৩.৫২ সেকেন্ড) ১৬, আমি পরিষ্কার মিটিং এ বলেছি, এবারের সংগ্রাম আমার মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম (৭.৩৪ সেকেন্ড)।
অধ্যাপক কবির চৌধুরী সম্পাদিত এবং তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত ভিডিও থেকে ভাষণটির এসব ভুল স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা গেছে। তাই বঙ্গবন্ধুর সেদিনের ভাষণের পুরো অংশ সবার কাছে তুলে ধরতে এবং ভাষণটির ভুল উপস্থাপনকারীদের ব্যর্থতা জানতে হাইকোর্টে একটি রিটও করা হয়েছে। রাজবাড়ীর রায়নগর গ্রামের কাশেদ আলীর পক্ষে আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস এ রিট করেন।
সুবীর নন্দী দাস বলেন, ‘পাকিস্তানের শোষণকারী শাসকগোষ্ঠীর হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। অথচ সংবিধানে এবং বেশ কিছু পাঠ্যপুস্তকে তার সেই ভাষণ ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাই সে ভাষণের সঠিক অংশ যেন বাঙালির কাছে তুলে ধরা যায়, সে প্রয়াস নিয়ে আমরা রিটটি দায়ের করি।’
অন্যতম সংবিধান প্রণেতা ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম জানান, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে যারা ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তবে শুধু শাস্তি দিলেই চলবে না, তাদেরকে জাতির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমাও চাইতে হবে।
সূত্র- বাংলাট্রিবিউন ও একাত্তর টিভি