পাঁচ দিন বিরতির পর আজ রবিবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় সংসদের মুলতবি অধিবেশন শুরু হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
আজ নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন সংক্রান্ত বিল বা খসড়া আইনটি সংসদে উত্থাপন করা হবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আইনটি উত্থাপনের পর এটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হবে। সংসদের ওয়েবসাইটে দেওয়া রবিবারের অধিবেশনের কার্যসূচি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
ওইদিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগের জন্য একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হবে।
সিইসি ও ইসি নিয়োগে যোগ্যতার বর্ণনা দিয়ে সচিব বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার হতে হলে তাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। বয়স কমপক্ষে ৫০ বছর হতে হবে। একই সঙ্গে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি বা বিচার বিভাগীয় পদে কমপক্ষে ২০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।’
সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগের জন্য বিলটি আনা হচ্ছে। কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই রাষ্ট্রপতিকে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। সেক্ষেত্রে আইনটি সংসদে তোলা থেকে পাস করে গেজেট প্রকাশের জন্য হাতে তিন সপ্তাহ সময় রয়েছে।
সংসদের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংসদীয় কমিটির রিপোর্টের জন্য বিলটির সময় খুব কম দেওয়া হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব বিলটি পাস করা হবে। এটি পাস হওয়ার পরে নতুন নির্বাচন কমিশন আইনের আলোকে সিইসি ও ইসি নিয়োগ করা হবে।
ইসি গঠনে কোনো আইন না থাকায় এর আগে তৃতীয়বারের মতো ইসি গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। ইসি গঠন নিয়ে ২০১১ সালে প্রথম সংলাপ শুরু করেন প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। এবারের সংলাপে রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন ও স্বাধীন, নিরপেক্ষ, শক্তিশালী ইসি গঠনের দাবি জানিয়েছে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই।