স্টাফ রির্পোটারঃ
গত ৩ এপ্রিল ২০২৩ইং তারিখে দৈনিক জাতীয় অর্থনীতিতে সওজের মুন্সিগঞ্জে সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবুল কাশেম মুহাম্মদ নাহীন রেজার বিরুদ্ধে দূর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ সংবলিত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। পত্রিকায় প্রকাশিত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় (স্মারক নংঃ ৩৫.০০.০০০০.০৫০.১৪.০২১.১৯-৯৬)। আজ ১৬ই এপ্রিল সেই অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক সশরীরে হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয় বক্তব্য প্রদান করেন যা লিখিত দেয়া হয়। কিন্তু প্রতিবেদককে বক্তব্য প্রদানের সময় অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন তুলে বিব্রত করা হয়। একপর্যায়ে উপসচিব প্রতিবেদককে জিজ্ঞেস করেন যেন কারো বাসার নিচে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহের অধিকার আছে কিনা? এবং অ্যাসাইনমেন্ট ছাড়া আপনি যেতে পারেন কিনা? তিনি আরও বলেন, হুট করেই তো সংবাদ সংগ্রহের জন্য কারো কাছে যাওয়া যায় না এজন্য অনেক আইন এবং নীতিমালা আছে।
যেখানে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে গণমাধ্যমকর্মী সংবাদ সংগ্রহের জন্য যেকোনো সময় যে কোন স্থানে, যে কারো কাছে যেতে পারবে (রাষ্ট্রীয় প্রটোকল পায় এমন ব্যক্তি এবং স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠান বাদে)। তবুও হাইকোর্টের সেই নির্দেশনা অমান্য করেই উপ-সচিব প্রতিবেদককে তার সম্পাদক কর্তৃক অ্যাসাইনমেন্ট এর কপি ১৮ এপ্রিলের মধ্যে নিয়ে যেতে বলেন এবং মামলাটা দ্রুত নিষ্পত্তি করে রায় দিয়ে দিতে হবে মর্মে একপ্রকার চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করেন। তিনি পত্রিকাটি নিবন্ধনের কাগজ এর কপিও তার কাছে নিয়ে যেতে বলেন এবং সেই মর্মে প্রতিবেদকের কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর গ্রহণ করেন। এখানে দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি পত্রিকাটির নিবন্ধন নিয়ে যদি সন্দেহই করেন তবে সেই পত্রিকার প্রতিবেদনের আলোকে কিভাবে মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করলেন?-সে প্রশ্ন থেকেই যায়। এটি কি প্রতিবেদককে মানসিক চাপে রাখার নিছক একটি প্রয়াস নয়?
এ ব্যাপারে দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির পত্রিকার সম্পাদক সংশ্লিষ্ট উপ-সচিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি সম্পাদকের সাথে অসংলগ্ন আচরণ করেন। এক পর্যায়ে ঐ উপ-সচিব সাংবাদিকতার মত মহান পেশাকে নিয়ে গালমন্দ করেন।
এ বিষয়ে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এবিএম আমিনুল্লাহ নূরীকে জানান দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির সম্পাদক। উক্ত ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তদন্ত কমিটির পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ আমলে নিয়ে ফের নতুন করে তদন্ত কমিটি গঠন করার আশ্বাস প্রদান করেন।