সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান মূল্য সূচক বেড়েছে। সেইসঙ্গে দুই বাজারেই বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে শেষ ১১ কার্যদিবসের মধ্যে ১০ দিনই ঊর্ধ্বমুখী থাকল শেয়ারবাজার।
এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মধ্য দিয়ে। এতে প্রথম মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে প্রথম ২৩ মিনিটের লেনদেনে সূচকটি বাড়ে ৩৭ পয়েন্ট।
প্রধান মূল্য সূচক বাড়লেও পতন হয়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকের। আগের দিনের তুলনায় সূচকটি ১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১১০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক দশমিক ৭৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৪৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৫২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৮টির এবং ৭১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রধান মূল্য সূচকের উত্থানের পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৭২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৯৪০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে২৩২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ন্যাশনাল ফিড, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, রবি, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৫৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৬৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৮টির এবং ৫১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।