জেলায় আগাম শীতকালীন সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। গত সপ্তাহের চেয়ে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। এখন সব ধরনের সবজি কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা বেশি দামে বেক্রি হচ্ছে। এতে কৃষক খুশি হলে নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতা ও ভোক্তাদের মাঝে।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) শহরের নতুন হাটখোলা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে পাইকারী পর্যায়ে প্রতি কেজি বেগুন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, টমোটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, মরিচ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, লাউ প্রকার ভেদে ২২ থেকে ২৫ টাকা, পেঁপে প্রতিকেজী ১০ থেকে ১২ টাকা, পটল ২০ থেকে ২২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। যা গত সপ্তাহের থেকে ২ থেকে ৫ টাকা বেশি। দাম বেশী হওয়ায় খুশি কৃষক।
সদর উপজেলার নগর বাথান গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম বলেন, আমি এ বছর ১২ কাঠা জমিতে আগাম শীতকালীন সীমের আবাদ করেছি। পাইকারী বাজারে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। বর্তমানে বাজারে সীমের দাম বেশি থাকায় আমি এবার লাভের আশা করছি।
একই এলাকার কৃষক রাশেদুল ইসলাম বলেন, আগাম মুলা আবাদ করে ভালো দাম পাচ্ছি। শীতকালে যে মুলা ২ বা ৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় সেই মুলা আজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলাম। এমন বাজার দর যদি আরও ২ সপ্তাহ থাকে তাহলে খরচ উঠে বেশ লাভ হবে বলে আশা করছি।
সদর উপজেলার গান্না গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান বলেন, গত সপ্তাহের থেকে এই সপ্তাহে সবজির বাজার একটু বেশি। প্রতিকেজি সবজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর এ অবস্থায় থাকলে আমরা খুশি। বৃষ্টির কারণে সবজির জমিতে কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে তবে দাম ভালো পাওয়ায় সেই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব।
নতুন হাটখোলা বাজারের ব্যবসায়ী গণেশ বিশ্বাস বলেন, গত ২ সপ্তাহ ধরে ঝিনাইদহে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে মরিচ, সীমসহ বিভিন্ন সবজি বাজারে কম আমদানী হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজি কম আসায় দাম একটু চড়া। আশা করছি কিছুদিন পর শীতকালীন সবজি বাজারে এলে দাম কমবে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগর আলী বলেন, আগাম শীতকালীন সবজি আবাদে কৃষক বেশি লাভবান হচ্ছে। অন্যান্য সবজিরও ভালো দাম পাচ্ছে তারা। বর্তমানে সবজির ভালো ফলন আর বাজারে সরবরাহকৃত সবজি নিরাপদ উপায়ে উৎপাদনে কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।