দেশে করোনা পরিস্থিতি খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছে। প্রতিদিনই মানুষের মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। এরই ধারাবািহকতায় শেরপুর জেলাতেও করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। কিন্তু জনসাধারণ বিষয়টি যেন মানতেই চাচ্ছেননা। তারা অনেকেই বিশ্বাসও করতে চাচ্ছেনা করোনার এ ভয়াবহ পরিস্থিতিকে। বারবার মানুষকে মাক্স ব্যবহার, সচেতন হওয়াসহ নির্দেশনা দেয়ার পরও কিন্তু অধিকাংশ জনগন তা মানছেননা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হলেও এতে মানুষ কিছুই মনে করছে না।
এরই মধ্যে সরকার প্রথম সপ্তার পর দ্বিতীয় সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষনা করেছেন। কিন্তু মানুষ এ লকডাউনও পালন করতে অনিহা প্রকাশ করছেন। পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক লকডাউন পালন করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টাই চালােনা হচ্ছে। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে পুলিশই মানুষকে লকডাউন পালন করতে বাধ্য করছেন। জেলার গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতেসহ নকলা, নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতীর বিভিন্ন প্রয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ফলে পুলিশের কারণেই ছোটবড় যানবাহনগুলো নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। আর যেখানে পুলিশ নেই সেখানে লকডাউন মানার কোন প্রবনতা নেই মানুষের মাঝে। গ্রাম্য হাটবাজারগুলোতে গেলে তো লকডাউন মানা হচ্ছে এমনটা মনে হয় না। এ অবস্থায় মনে হচ্ছে সব ঠেকা পুলিশের। অনেক স্থানে পুলিশের দায়িত্ব পালনকালে তর্ক-বিতর্কে জড়াতে দেখা যাচ্ছে অনেককেই। তাই প্রশ্ন উঠেছে সব দায় কি শুধুই পুলিশের ? আমাদের কি কোন দায় দায়িত্ব নেই ?