একের পর এক আক্রমণেও প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের বাধা পেরোতে পারছিল না জার্মানি। বাধা হয়ে ছিল পোস্টও। সেই দলই বিরতির পর গোল উৎসবে মাতল। অন্য ম্যাচের ফলও এলো পক্ষে। নর্থ মেসিডোনিয়াকে ৪-০ গোলে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে বাছাই পেরিয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিল চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
সোমবার রাতের ম্যাচটিতে বাড়তে পারত আরও। কিন্তু দুর্দান্ত কিছু সেভ দেন মেসেডোনিয়ার গোলরক্ষক স্টোল দিমিত্রভস্কি, পাশাপাশি বাধা হয়ে দাঁড়ায় বার পোস্টও। যে কারণে প্রথমার্ধে কোনো গোলই পায়নি জার্মানি। দ্বিতীয়ার্ধেই ৩৩ মিনিটের ব্যবধানে চারবার প্রতিপক্ষের জাল কাঁপায় তারা।
পুরো ম্যাচে একচ্ছত্র আধিপত্যই ছিল থমাস মুলার, টিমো ওয়ের্নার, লিওন গোরেৎজকাদের। ম্যাচের ৭৫ ভাগ সময় বলের দখল নিজেদের কাছেই রাখে তারা। অন্তত ২৪টি শট করে গোলের জন্য, যার মধ্যে ১০টিই ছিলো লক্ষ্য বরাবর। অন্যদিকে সারা ম্যাচে মাত্র একবার জার্মান গোলরক্ষককে লক্ষ্য বরাবর শট দিতে পেরেছে মেসেডোনিয়া।
একের পর এক গোল মিসের হতাশাময় প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে গোল পেতে সময় লাগেনি জার্মানির। ম্যাচের ৫০ মিনিটের সময় প্রথম গোলটি করেন কাই হাভার্জ। প্রথমে সার্জি জিনাব্রি বল রিসিভ করেন মুলার। কিন্তু জায়গা কম দেখে বল ছেড়ে দেন হাভার্জের কাছে। বাকি কাজ সহজেই সারেন চেলসির তরুণ তারকা।
পরে ৭০ থেকে ৭৩ মিনিটের মধ্যে দুইবার স্কোরশিটে নাম তোলেন ওয়ের্নার। তার প্রথম ও ম্যাচের দ্বিতীয় গোলেও ছিলো মুলারের এসিস্ট। আর স্কোরলাইন ৩-০ করা গোলের পাস দেন ফ্লোরিয়ান ভিরৎজ। দর্শনীয় দুই গোলে জার্মানির জয় প্রায় নিশ্চিত করে দেন চেলসির ফরোয়ার্ড।
এর খানিক পর ওয়ের্নারকে উঠিয়ে জামাল মুসিয়ালাকে নামান জার্মান কোচ। প্রতিদান দিতে সময় নেননি মুসিয়ালা। ম্যাচের ৮৩ মিনিটের সময় করিম আদেয়মির পাস থেকে নর্থ মেসেডোনিয়ার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন বায়ার্ন মিউনিখে খেলা এই ফরোয়ার্ড। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এটিই তার প্রথম গোল।
এ সহজ জয়ের সুবাদে ৮ ম্যাচে জার্মানির পয়েন্ট হয়েছে ২১। সমান ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট রয়েছে দুই নম্বরে থাকা রোমানিয়ার। ফলে এই গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিতের মাধ্যমে বিশ্বকাপের টিকিটও পেয়ে গেছে জার্মানি। এখন প্লে-অফে খেলার জন্য দুই নম্বর স্থান দখলের লড়াইয়ে থাকবে আর্মেনিয়া, রোমানিয়ারা।
উল্লেখ্য, ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১০ গ্রুপের শীর্ষ ১০ দল সরাসরি পাবে কাতার বিশ্বকাপের টিকেট। এ ছাড়া ১০ গ্রুপের রানার্সআপ ও নেশনস লিগের সেরা দুই গ্রুপ জয়ী মিলে খেলবে ১২ দলের প্লে-অফ। সেখান থেকে ইউরোপের আরও তিনটি দল সুযোগ পাবে বিশ্বকাপে খেলার।