বিএনপির বিভিন্ন সমাবেশ ও কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া কর্মীরা মোবাইল ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ছেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, কর্মসূচিতে আসতে যে খরচ হয় তা তুলতেই বিএনপিকর্মীরা ছিনতাই বা চুরিতে জড়িত পড়ছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা একটি চোরচক্র বা ছিনতাই চক্রের সন্ধান পেয়েছি। বুধবার (৯ নভেম্বর) রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে এ চক্রের পাঁচ সদস্যকে আমরা গ্রেফতার করেছি। তাদের কাছ থেকে ১৮টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। আসলে এটা কাউকে দোষারোপ করে না, কাউকে হেয় করার জন্য বলছি না। তাদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি, তোমাদের পেশা কী? তখন তারা বলেছেন, আমাদের পেশা হলো আমরা রাজনীতি করি। বিএনপির সমাবেশ যখন হয়- যেমন খুলনা, রংপুর, বরিশাল আমরা সেখানে যাই। ফেরার পথে আমরা চুরি-ছিনতাই করি।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. হারুন ওরফে আনিছুজ্জামান, হারুন-অর-রশিদ, মো. সোহেল, মো. এনামুল হক ও নূর ইসলাম।
অন্য কোনো সমাবেশে তারা যায় কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, না তারা বিএনপির রাজনীতি করেন। বিএনপির সমাবেশ হয়ে আসতেন। আমরা তাদের কাছ থেকে ১৮টি মোবাইল ফোন পেয়েছি। এসব মোবাইল তারা বিএনপির সমাবেশ থেকে নাকি রাস্তা থেকে ছিনতাই করেছেন সে বিষয়ে আমরা তাদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করবো।
তাদের কোনো পদ-পদবি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না তাদের পদ-পদবি নেই। তবে তারা বিএনপিকর্মী। তাদের টাকা দরকার ছিল বলে ছিনতাই করছিলেন।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, তাদের গ্রেফতারের পর যখন জানতে চাইলাম তোমরা কোথায় গিয়েছিলে? তখন জানান বরিশালে বিএনপির সমাবেশে গিয়েছিলেন। টাকার দরকার হলে এসব কাজ করেন।
মোবাইলগুলো কোথা থেকে চুরি বা ছিনতাই করেছে- এমন প্রশ্নে ডিবি প্রধান বলেন, আমরা তাদের রিমান্ডে আনবো। তারপর জানবো, টোটাল ছিনতাই তারা ঢাকায় করেছেন, নাকি বিএনপির সমাবেশ থেকে করেছেন।
বরিশালে বিএনপির ছয়জন ছিনতাইয়ের টাকাসহ গ্রেফতার হন। তাদের সঙ্গে এই দলের যোগসাজশ আছে কি না জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, এখনই তা বলতে পারছি না।