স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা মহামারির ব্যবস্থাপনা ও ভ্যাকসিনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে যারা সমালোচনায় ব্যস্ত ছিলেন তারাই ভ্যাকসিন নিতে বেশি উদ্যোগী হয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এমন অনেক সমালোচক রয়েছেন, যারা স্বাস্থ্যখাত নিয়ে এমনকি ভ্যাকসিনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও গণমাধ্যমে সমালোচনায় মুখর থাকতেন। তারাই সবার আগে ভ্যাকসিন নিয়েছেন, সেজন্য আমরা গর্বিত। এটি সরকারের জনস্বাস্থ্যনীতির একটি বড় সাফল্য।’
আজ সকালে নারায়ণগঞ্জে কুমুদিনি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের অর্থায়নে ‘কুমুদিনি ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড ক্যান্সার রিসার্চ-এর ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন তিনি। গণভবন থেকে এই ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনা মোকাবিলায় সরকারকে অনেক সংকটময় পরিস্থিতি পাড়ি দিতে হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘সারাবিশ্বে লকডাউনের কারণে ভেন্টিলেটর ও পিপিই’র পর্যাপ্ত সংস্থান ছিল না। কিন্তু সেসবেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল জরুরি ভিত্তিতে। দেশে টেস্টিং কিট ছিল না। সেই কিটও জরুরি ভিত্তিতে নিয়ে এসে মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, এখন মানুষের ভ্যাকসিন ভীতি দূর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে সব জায়গায়। বর্তমানে দেশে সংক্রমণের হার ২ দশমিক ৩ শতাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলে থাকে, যখন কোনো দেশে এই হার তিন শতাংশের নিচে নেমে আসে, তখন সেই দেশ থেকে করোনা ধীরে ধীরে বিদায় হতে থাকে। দেশে মৃত্যুর হার এখন ১ দশমিক ৫। যা বিশ্বে এখন সর্বনিম্ন। বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৮ হাজারের কিছু বেশি। যেখানে বিশ্বে কোনো কোনো দেশে মৃতের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে গেছে।