অনুসন্ধানী প্রতিবেদনঃ সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন করতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কিছুসংখ্যক দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেনো দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। নানান দূর্নীতি অনিয়ম ও আয় বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধান ও প্রতিবেদন প্রকাশ পেলেও তদন্ত ও পদক্ষেপ গ্রহণে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে গণমাধ্যমকে তোয়াক্কা করতে নারাজ কিছু সংখ্যক অতি আত্মবিশ্বাসী দুর্নীতিপরায়ণ প্রকৌশলীরা। সওজ সূত্রে জানা যায় প্রকৌশলীদের অনেকেই বলে বেড়ান, “আমাদের চিফ স্যার আমাদের পক্ষে আছে, পত্র-পত্রিকায় নিউজ হলে তাই তদন্ত হয় না, দিনে কত নিউজ আর অভিযোগ জমা পড়ে, চীফ ইঞ্জিনিয়ার এগুলো ধরেও দেখেনা ”
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও সড়ক ও জনপথ সচিব এর অভিযোগ তদন্তে গরিমসি করার কারনেই হয়তো সওজ জুড়ে চলছে অবৈধ আয়ের সংস্কৃতি।
বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়মে হাত পকা দাপুটে প্রকৌশলী শেখ সোহেল আহমেদ, যিনি অনিয়মের মাধ্যমে দেশে বিদেশে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। সরেজমিন অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায় রাজধানীর ধানমন্ডি (হাউজ-১৩/২,ফ্ল্যাট নং-বি ২,রোড-৪/এ) এবং (গাড়ি নংঃ ঢাকা মেট্রো -চ ১৯২২৬২) যা তার সার্বিক আয়ের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, মাসিক এক লক্ষ টাকারও নিচে বেতন পাওয়া একজন কর্মকর্তার পারিবারিক ও দৈনন্দিন খরচ মিটিয়ে অভিজাত এলাকায় প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার অর্থ পেলেন কোথায়?
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় সওজের ডাটাবেজ শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ সোহেল আহমেদ, ঠিকাদারদের অভিজ্ঞতা সনদ জালিয়াতির সাথেও জড়িত, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বিভিন্ন বিভিন্ন তথ্য দিয়ে ঠিকাদারদের কাছ থেকে গুনে নিয়েছে মোটা অংকের টাকা। সেই টাকায় কিনেছেন ধানমন্ডির মতো অভিজত এলাকায় প্রায় ৩ কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি(ফ্ল্যাট) এবং প্রায় অর্ধ কোটি টাকা দামের গাড়ি, যা তার এ অবদি প্রাতিষ্ঠানিক কর্মজীবনের আয়ের সাথে কোনভাবেই সংগতিপূর্ণ নয়।
উল্লেখিত অভিযোগ সমূহের আলোকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের পূর্বে তাকে ফোনে কল করা হলে তিনি জানান,অনুসন্ধান করে যা পারেন লিখে দেন, এতে আমার কিছু আসে যায় না, এবং যে সকল অভিযোগ রয়েছে তা প্রকাশে তার কোন আপত্তি নেই। এতে তার বেপরোয়া মনোভাব প্রকাশ পায়।
শেখ সোহেল আহমেদের নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়, বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ তদন্ত ম্যানেজ করতে সিদ্ধহস্ত এই প্রকৌশলী। প্রকৌশলী শেখ সোহেলের দেশ-বিদেশে আয় বহির্ভূত সম্পদ নিয়ে দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্র জানায়, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কয়েকজন প্রকৌশলীর উপর নজর রাখছে দুদক, আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শেখ সোহেল আহমেদ ও আছে নজরদারিতে।