এম রাসেল সরকার: রাজধানীর অধিকাংশ সড়কে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। অসংখ্য ছোট বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় কোন কোন সড়ক চলাচলের প্রায় অনুপোযোগী হয়ে গেছে। কয়েকটি সড়ক থেকে ম্যানহোল চুরি হওয়ায় সেখানে বাঁশ দিয়ে রাখা হয়েছে।
এসব ভাঙ্গাচোরা সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে নানা অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে পথচারী থেকে সব ধরনের যাত্রীদের। সড়কগুলো দীর্ঘ দিন ধরে খানাখন্দে ভরা থাকলেও মেরামতে কোনো উদ্যোগ না থাকায় অসন্তুষ্ট নগরবাসী।
রাজধানীর মুগদা-বাসাবো-মানিকনগর এলাকার অধিকাংশ রাস্তা এখন চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে গেছে। বিশ্বরোড থেকে গ্রিন মডেল টাউনমুখী সড়কে ঢুকতেই বড় বড় গর্ত রয়েছে। এ ছাড়া বিশ্বরোড থেকে বাশার টাওয়ার পর্যন্ত পুরো সড়কেই অসংখ্য খানাখন্দ রয়েছে। মুগদা থেকে বাসাবো যেতে মূল সড়ক ওয়াসা রোড। কিন্তু এ সড়কের অবস্থা বর্তমানে খুবই করুণ।
গত প্রায় তিন মাস আগে ঢাকা ওয়াসা সড়ক দিয়ে নতুন পাইপলাইন স্থাপনের কাজ করেছে। এ সময় সড়কের অসংখ্য স্থানে আড়াআড়িভাবে কাটা হয়েছে। ওয়াসা কাজ শেষ করে চলে গেছে। নিয়ামনুযায়ী সিটি করপোরেশনের ওই সড়ক মেরামত করার কথা। কিন্তু তাদের কোনো খবর নেই। ফলে বর্তমানে অসংখ্যা কাটাস্থানের পাশাপাশি অসংখ্য গর্তের কারণে সাধারণ পথচারী থেকে রিকশাযাত্রীসহ সব ধরনের গাড়ি চলাচলে ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে। সম্প্রতি বৃষ্টি হলেই মুগদা ৫০০ শয্যার হাসপাতালের সামনে হাঁটুপানি জমে যাচ্ছে।
ফলে ওই সড়কের কয়েকটি স্থানে গর্ত তৈরি হয়েছে। কিন্তু সেটি মেরামতে কোনো নজর নেই। বরং সড়কের একটি ম্যানহোলের ঢাকনা না থাকায় সেখানে গাড়িচালকদের সতর্ক করতে প্রায় এক মাস ধরে একটি বাঁশ দিয়ে রাখা হয়েছে। বর্তমানে মুগদা হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীতে ভর্তি রয়েছে।
ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার মানুষ চলাচল করছে। ফলে তাদের নিয়মিত ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। মুগদা বিশ্বরোডের টিটিপাড়া একটি ব্যস্ততম এলাকা। এখানে সাম্প্রতিককালে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। সেখানে অনেকগুলো গর্ত তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া টিটিপাড়া থেকে খিলগাঁও গামী সড়কের বেশির ভাগ অংশ ফেটে গেছে। কোথাও ছালবাকলও উঠে গেছে।