আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জয় লাভ করেছে টাইগাররা। চেমসফোর্ডে গতকাল বোলারদের নৈপুণ্যে অবিশ্বাস্যভাবে হারা ম্যাচ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এই ইংল্যান্ডেই ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের ক্যারিয়ারের স্মরণীয় কিছু মুহূর্ত রয়েছে। এখানে বরাবরের মতোই তিনি সফল ছিলেন। লর্ডসে তামিমের সাদা পোশাকে অনবদ্য সেই শতক চিরকাল ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে থাকবে। তবে আইরিশদের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে টাইগার ভক্তদের জন্য এক প্রকার দুঃসংবাদই রয়েছে।
তামিম ইকবাল বাংলাদেশের সেরা ওপেনার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে গতবছর অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। যা এসেছিল অনেকটা অপ্র্যাতাশিতভাবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাটিতে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ করার পর তিনি সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট ছাড়ার এই ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই বাঁহাতি ওপেনার এখন বাংলাদেশের হয়ে শুধু টেস্ট ও ওয়ানডে খেলে যাচ্ছেন।
তবে এসবের মাঝে গতকালই ইংল্যান্ডের মাটিতে নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তামিম। কেননা আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্ল্যান অনুযায়ী আগামী কয়েক বছরে ইংল্যান্ডের মাটিতে কোনো ম্যাচ নেই বাংলাদেশের।
যে কারণে আইরিশদের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তামিমের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ইংল্যান্ডের মাটিতে কি শেষ ম্যাচ! জবাবে টাইগার এই অথিনায়ক বলেন, ‘আমি সম্ভবত ইংল্যান্ডে শেষ ম্যাচটা খেলে ফেলেছি, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ম্যাচের কথা বলব। আগামী তিন-চার বছরে কোনো সূচি নেই। কাজেই এটাই সম্ভবত আমার শেষ ম্যাচ। খুব উপভোগ করেছি।’
নিজের শেষ ম্যাচ খেললেন! মন খারাপ কি না জানতে চাইলে তামিম বলেন, ‘অবশ্যই ( শেষ ম্যাচ খেলায় মন খারাপ)। আমি এই সিরিজের আগেই চিন্তা করছিলাম। কারণ এই সূচিতে তিন-চার বছরে এরকম আর কিছু নেই। আমি ভালো কিছু একটা আশা করছিলাম। কারণ আমি এখানে যখন প্রথম আসি তখন এটা বিশেষ ছিল। এবারেরটা আমার শেষ ছিল। আর তাই আমি বিশেষ কিছু করতে চেয়েছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে করতে পারছিলাম না। যাই হোক এটা ভালো যে কিছু রান করা গেছে, অবশেষে স্মৃতিটাকে ভালো রাখার জন্য।’
আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্লান অনুযায়ী ২০২৩ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত করা ভবিষ্যৎ সূচির পরিকল্পনায় ইংল্যান্ডে বাংলাদেশের কোনো সফর নেই, ম্যাচও নেই। ২০২৭ সাল পর্যন্ত হয়তো তামিম আর নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার চালিয়ে যাবেন না তাই হয়তো স্বীকার করে ফেলেছেন এটিই তার শেষ ম্যাচ।