শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘নিয়োগ, ঠিকাদারিসহ বহুমুখী অযাচিত চাপে থাকেন উপাচার্যরা। অনেক সময় সহকর্মীরাও তাদের অসহযোগিতা করেন। ফলে উপাচার্যদের পক্ষে কাজ করা কঠিন হয়ে যায়। এতে করে সম্মানহানির ভয়ে অনেকেই উপাচার্য হতে আগ্রহী হন না।’
আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকে এগিয়ে নিতে উপাচার্যদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানভেদে আর্থিক প্রয়োজনীয়তা ও খরচের ধরন ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মানদণ্ড সব প্রতিষ্ঠানে একই হওয়া উচিত। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান আর্থিক অনুশাসন মানা হলে, অর্থ সংক্রান্ত সব বিতর্ক নিরসন সম্ভব।’
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ন্ত্রণের ইচ্ছা সরকারের নেই জানিয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়কে কাঙ্ক্ষিত স্থানে পৌঁছাতে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা নিয়ে সরকার পাশে আছে।’
জেলায় জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হলে শিক্ষার মান কমবে বলে যে ধারণা প্রচলিত আছে তা যথার্থ নয়। শুরুতে কিছু সমস্যা থাকলেও সময়ের পরিক্রমায় ঠিকই শিক্ষার মান অর্জিত হয়।’