দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন শুনানির জন্য ১১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত। একই দিন মামলার অভিযোগ (চার্জ) গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
বুধবার (৬ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন।
সূত্রে জানা গেছে, আজ (বুধবার) একই আদালতে সম্রাটের জামিন শুনানি এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সম্রাট অসুস্থ থাকায় আদালতে তাকে হাজির না করে হাজতি পরোয়ানা পাঠায় কারা কর্তৃপক্ষ। এরপর বিচারক নতুন দিন ধার্য করেন।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহানাজ পারভীন (হীরা)।
গত ২১ জুন একই আদালতে সম্রাটের জামিন শুনানি ও চার্জ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সম্রাট অসুস্থ থাকায় ৬ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন বিচারক।
এর আগে, গত ২৪ মে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন সম্রাট।
অন্যদিকে, দুদকের আইনজীবী তার জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান। একই সঙ্গে ৯ জুন জামিন শুনানির জন্য ধার্য করা হয়।
এর আগে গত ১৮ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এ মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিল করেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে সাত দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
তারও আগে, সব মামলায় জামিন পাওয়ায় গত ১১ মে মুক্তি পান সম্রাট। দুদকের মামলায় তার তিন শর্তে ও ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় ৯ জুন পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
শর্তগুলো হলো- আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশ ত্যাগ করতে পারবেন না সম্রাট, পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার প্রতিবেদন আগামী ধার্য তারিখে জমা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। একই বছরের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। গত ২২ মার্চ দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৬ এ পাঠানো হয়।