শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। ডেথ ওভারের বোলিংয়ে বাংলাদেশের ব্যর্থতা ফুটে উঠছে বার বার। বোর্ডে ১৮৩ রানের বড় সংগ্রহ নিয়ে দারুণ সুযোগ ছিল শুরুতেই লঙ্কানদের চেপে ধরার। কিন্তু বোলাররা সেই সুযোগ লুফে নিতে পারলেন না।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচেও শেষ ৬ ওভারে ৬৩ রান ঠেকাতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। নাজিবউল্লাহ জাদরান ও ইব্রাহিম জাদরানের জুটিতে ৪.৩ ওভারেই ৬৩ রান দিয়ে ম্যাচ হেরেছে বাজেভাবে। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এক ওভারে ২২ রান দিয়ে ম্যাচ বের করে দেন।
একই দশা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচেও। আগে ব্যাট করে ১৮৩ রানের পুঁজি দাঁড় করানোর পর বল হাতেও শুরুটা ভালো ছিল বাংলাদেশের। শেষ ৮ ওভারে লঙ্কানদের বাকি ছিল ৮৯ রান। সেখান থেকে এবাদত হোসেনের ২২ ও ১৭ রানের দুইটি ওভারে ম্যাচের পাল্লা ঝুঁকে পড়ে শ্রীলঙ্কার দিকে।
এছাড়া ইনিংসে বাংলাদেশ করেছে ৪টি নো বল, সঙ্গে ৮টি ওয়াইড। অথচ শ্রীলঙ্কা নো ও ওয়াইড থেকে রানই দেয়নি কোনো। নো ও ওয়াইড থেকে শুধু অতিরিক্ত ১২টি রান দেওয়া নয়, বাংলাদেশকে করতে হয়েছে অতিরিক্ত ২ ওভারও।
লঙ্কানদের বিপক্ষে পরে আর জিততে পারেনি টাইগাররা। উল্টো চার বল আগেই ম্যাচ শেষ করে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা। দুই ম্যাচেই হেরে আসর থেকে বিদায় নিলেও, এটিকে নিজের বোলারদের পরখ করে নেওয়ার বড় সুযোগ হিসেবেই দেখলেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বিশ্বকাপ শুরুর আগে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সেই সিরিজেও সবার পারফরম্যান্স দেখে কারা চাপের মুখে দলের প্রয়োজনের সময় পারফর্ম করতে পারেন সেটি বুঝে নেবেন সাকিব। যারা ব্যর্থ হবেন তাদের দলে জায়গা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডে আমাদের ম্যাচ আছে। এগুলো অনেক সাহায্য করবে। এটা আমাদের জন্য চোখ খুলে দেওয়ার মতো ব্যাপার যে, পেসাররা চাপের সময় কেমন বোলিং করে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই ধরনের পিচে, পেসারদের ১২ ওভার বোলিং করতে হবে। আমি বলছি না, ১২ ওভার করতেই হবে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৩ পেসারের কাছ থেকে ১২ ওভার প্রত্যাশিত থাকবে। অন্তত ভালো ১০ ওভার প্রত্যাশা করবেন।’
অন্যান্য দেশগুলো হয়তো ১৪-১৫ ওভার পর্যন্ত প্রত্যাশা করে পেসারদের কাছ থেকে। সেখান থেকে আমরা ১০-১২ ওভার প্রত্যাশা করছি। আর এটা পেস বোলারদের ডেলিভার করতেই হবে। যারা ডেলিভার করতে পারবে, তারা থাকবে। যারা পারবে না, আসলে তারা থাকবে না। খুবই সহজ হিসাব এখানে।