কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা পরিষদের চন্দনা নামের সরকারি কোয়াটারের সামনে একটি সবজি বাগান গড়ে তুলেছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা। সেখানে শোভা পাচ্ছে শশা, বেগুন, ঢ্যাঁড়শ, চিচিংগা, লাল শাক, পুঁই শাক, ডাটা শাকসহ নানা জাতের সবজি। সেখানে উৎপাদিত সবজি ওই কর্মকর্তাসহ কয়েকটি পরিবারের চাহিদা মিটাচ্ছে।
এ বিষয়ে ওই কর্মকর্তা, মোহাম্মদ আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে’ এই নির্দেশনার আলোকে তিনি সবজি বাগান করেছেন।
এছাড়াও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উপজেলা কৃষি, সমাজসেবা, মহিলা বিষয়ক, দারিদ্র্য বিমোচন, সহকারী কমিশারের কার্যালয়, ইউএনওর বাসভবনসহ পরিষদ চত্ত্বরের অন্তত ১০টি স্থানে রয়েছে এমন হরেকরকম সবজি বাগান। এতে একদিকে যেমন বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাহিদা মেটাচ্ছে, অন্যদিকে উপজেলায় আগত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা পরিষদ চত্বর ছাড়াও কুমারখালী থানা, শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি, বাঁশগ্রাম পুলিশ ক্যাম্প, পান্টি ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়, বসতবাড়ির আঙিনাসহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে তোলা হয়েছে পুষ্টিবাগান। সেখানে চাষাবাদ হচ্ছে তরতাজা সবজি ও ফল।
এ সময় শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির কাস্টোডিয়ান আল আমিন বলেন, তার কার্যালয়ে আনসারসহ মোট ৪৮ জন কর্মচারী রয়েছেন। তারা সবাই মিলে কুঠিবাড়ি চত্বরে কয়েকটি সবজি ও ফলের বাগান করেছেন। এখন তাদের আর বাজার থেকে সবজি কেনা লাগেনা।
বাঁশগ্রাম পুলিশ ক্যাম্পের কর্মকর্তা এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি পতিত জমিতে সবজির চাষাবাদ করছেন। যা তাদের সবজি চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি ক্যাম্পের সুন্দর্য বৃদ্ধি করছে। তিনি ক্যাম্পে আগত অনেক মানুষকেই সবজি দিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস বলেন, উপজেলায় ৭৫০টি বাগান রয়েছে। বাগান গুলো পারিবারিক সবজির চাহিদা মেটাচ্ছে। প্রতিটি বাগানের জন্য তিনি ১৮ পদের সবজি ও ৫ পদের ফলের বীজ, ১০ কেজি করে জৈব ও রাসায়নিক সার, ঘেরার জন্য জাল (নেট) ও পানি দেওয়ার জন্য ঝাজরি প্রদান করেছেন।
ইউএনও বিতান কুমার মন্ডল বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন পরিষদ, পুলিশ ক্যাম্পসহ সকল স্থানে পুষ্টিবাগান তৈরি করা হচ্ছে। এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে, সেই লক্ষ্যে কাজ করছেন তিনি।