সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩২ করার দাবি জানিয়েছে সরকারি চাকরি প্রত্যাশী যুব প্রজন্ম। আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
বক্তারা বলেন, গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণার সাথে বন্ধ হয়ে যায় সকল প্রকার সরকারি চাকরির সার্কুলার ও স্বাভাবিক নিয়োগ প্রক্রিয়া। দেশে এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলমান। শিক্ষার্থীদের ২৬ বছর বয়সে শিক্ষাজীবন শেষ করে চাকরির পরীক্ষায় বসার কথা থাকলেও তারা করোনার কারণে জীবন থেকে দেড় বছর হারাতে চলেছে। সরকারি বিধি মোতাবেক প্রচলিত যে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ পাওয়ার কথা, সে সুযোগ পাচ্ছে না চাকরি প্রার্থীরা।
তারা বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ বা আবেদনের বয়সসীমা ৩০ হলেও বিসিএস স্বাস্থ্য ও জুডিশিয়ারি এর ক্ষেত্রে ৩২ বছর, অন্যদিকে বিভিন্ন কোটার ক্ষেত্রে এই বয়সসীমা ৩২ বছর। বক্তারা বলেন, গত ৩০ বছরে দেশের মানুষের গড় আয়ু ১৬ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়েনি।
সার্বিক দিক বিবেচনা করে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করার দাবি জানান চাকরি প্রার্থীরা। একই দাবিতে আগামী ১১ জুন বিকালে শাহবাগে জনসমাবেশের ঘোষণা দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে সরকারি চাকরিপ্রত্যাশী যুব প্রজন্মের পক্ষে তানভির হোসেন, সাজিদ রহমান, আনোয়ার সাকিন, অক্ষয় রায়, সুমনা রহমান, মারজিয়া সুলতানা, আব্দুল্লাহ মামুন, সাদেকুল ইসলাম, ডালিয়া আহমেদ, মানিক রিপন, শারমিন পরীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।