নিজস্ব প্রতিবেদক : এখন থেকে সরকারি দফতরগুলো নিজেদের জন্য পৃথক কোনও ডাটা সেন্টার করতে পারবে না। সরকারি সব দফতরের তথ্য গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হাইটেক পার্কের কেন্দ্রীয় ডাটা সেন্টারে রাখতে হবে। সরকারি দফতর ছাড়াও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের অর্থ জমা দিয়ে সেখানে তথ্য জমা রাখতে পারবে। সরকারি অর্থের অপচয় হ্রাস ও সম্মিলিত কেন্দ্রীয় একটি ডাটা সেন্টার করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এ লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেড’ শীর্ষক কোম্পানির মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন এবং আর্টিক্যাল অব অ্যাসোসিয়েশনের সংশোধিত খসড়া ভূতাপেক্ষ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ভার্চুয়াল এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সবার ডাটা আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) মন্ত্রণালয়ের কালিয়াকৈরের মেগা ডাটা সেন্টারে রাখতে হবে। এমনকি চাইলে বিদেশিদেরটাও রাখা যাবে। সেটার জন্য প্রথমে একটা অপারেটিং ফান্ড দিয়ে দিচ্ছে। এরপর থেকে সরকার টাকা দেবে না। তারাই ডাটা স্টোর করে যে টাকা-পয়সা পাবে সেটা দিয়ে মেনটেইন করবে এবং ভাবিষ্যতে এক্সটেনশন করবে।’
তিনি বলেন, ‘দেখা গেছে, প্রত্যেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগ একটা করে সার্ভার বসায় এবং এর জন্য অর্থ বরাদ্দ চায়। এখন থেকে কেউ আর তা পারবে না। সবার ডাটা এই কালিয়াকৈরে ডাটা সেন্টারে কোম্পানির আন্ডারে স্টোর করতে হবে। কারণ, ওখানে সব সেফটি ও সিকিউরিটি থাকবে। এটার একটা ব্যাকআপ আছে যশোরে। কোনও কারণে যদি কালিয়াকৈরে ডিজাস্টার হয়, সব ডাটা যশোরের ব্যাকআপ সেন্টার থেকে উদ্ধার করা যাবে।’
খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘এখানে যারা তথ্য সংরক্ষণ করবেন, ঐ ডাটা সেন্টারের মালিকও সেখানে ঢুকতে পারবে না, বুঝতেও পারবেন না, কিছুই করতে পারবেন না। যিনি স্টোর করবেন কেবল তারই অপারেট করার সুযোগ থাকবে, এন্ট্রি থাকবে। তিনি তার পাসওয়ার্ড দিয়ে তার নিজেরটুকু অপারেট করবেন।’