মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর সারাদেশের মত চট্টগ্রামের প্রতিটি উপজেলায় অসহায় ভূমিহীন গৃৃহহীনদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩০০/৪০০ করে ঘর দেওয়া হয়েছে। সকল উপজেলার ঘর গুলো যথাযতভাবে বসবাস করে যা”েছ তাতে কোন অভিযোগ, বদনাম উঠেনি তবে পটিয়া উপজেলাধীন হাইদগাওঁ ইউনিয়নে পাহাড় ঘেরা অঞ্চলে গু”ছগ্রামের ২৩০ টি ঘর নির্মাণ করা হয়। তৎমধ্যে ২০০ পরিবারকে ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হলেও এখনো পর্যন্ত সকলের বসবাস শুরু হয়নি। উক্ত ঘর গুলো নিয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছে যাহা গণমাধ্যমে ও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। নির্মাণ কাজের দুর্বলতা, অনিয়ম, দূর্নীতি বসবাসের আগে ঘরের বিভিন্ন অংশ নষ্ট হওয়া ফেটে যাওয়া মর্মে। যাহা নিয়ে একটি কুচক্রী মহল সরকার বিরোধী অপপ্রচার কুৎসা রঠানো শুরু করে এতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। গত ১৪ই জুলাই ২০২১ ইং তারিখে নিজে স্বশরীরে সাংবাদিক ও ডিসি অফিসে কর্মকর্তা কর্মচারীগণ সহ ১৫ জনের একটি টিম নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি পটিয়া উপজেলার হাইদগাওঁ গু”ছ গ্রামে নির্মানাধীন আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর গুলো পরিদর্শনে যায়। সেই খানে যুক্ত হয় আশ্রয়ন প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা (পি আই ও) শুপ্তশ্রী শাহা। জেলা প্রশাসক ও সঙ্গীয় পরিদর্শক টিম পরিদর্শন কালে দেখতে পায় ঘর গুলো নিয়ে যে হারে বদনাম ও অপপ্রচার চালানো হয়েছে তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন ঘরগুলো সম্পূর্ণ ভাল ও সুন্দর ভাবে অক্ষত রয়েছে। তবে বসবাসকারীদের তথ্যমতে একটি ঘরের ভেন্টিলেটার ভেঙ্গেছে বদি নামক এক লোক, বসবাসকারীরা বদিকে ভেন্টিলেটার ভাঙ্গার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে এই জন্য বদি থেকে ৩০০ টাকা জরিমানা ও নেয়। বসাবাস কারী ও নির্মাণ শ্রমিক সেলিম মিস্ত্রি জানায় রাতের অন্ধকারে একদল মাদকসেবী ঘরের টিনের উপর ঢিল মেরে ভয়-ভিতি প্রদর্শন করে খালি ঘর গুলোতে মাদক সেবনও করে, এতে কয়েকটি ঘরের মেঝেতে ভারি যন্ত্র মেরে ফেটে দেয়। এই সবের ছবি তুলে সরকার বিরোধী চক্রমহলের ইন্দনে বর্তমান সরকারের উন্নয়নে ঈর্শ্বানিত হয়ে সরকার বিরোধী অপপ্রচার ও বদনাম রঠানো শুরু করে যাহা উন্নয়ন কাজে বাধা সৃষ্টি রাষ্ট্রদ্রোহীতার সামিল, দেশব্যাপি অপপ্রচার কারীদের ধারাবাহিক মিথ্যাচার বলে ধারণা করা হ”েছ। সরকার বিরোধী কুচক্রী মহলের ইন্দ্বনে এই সব অপকর্ম করেছে ও করাইছে মর্মে জানায় ¯’ানীয় লোকজন। এসব শুনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক নির্দেশ প্রদান করে ¯’ানীয় ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি কমিটি গঠন করে ঘরগুলোতে বহিরাগত দূষ্কৃত চক্রান্ত কারীদের আনাগুনা চিহ্নিত করতে এবং সার্বক্ষনিক দেখাশুনার জন্য ২ জন দারোয়ান নিয়োগ দেওয়ার ও পরামর্শ দেন পরিশেষে বসবাসকারী পরিবার গুলো সকলেই জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সামনে এসে আবেগআপ্লুত হয়ে বলে আমরা ঘর পেয়ে অনেক খুঁশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে লাখো কোটি সালাম ও ধন্যবাদ জানায়, স্যার আমাদের এই কথাগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাবেন। আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন কালে অসহায় পরিবার গুলোকে নগদ অর্থ সহায়তা ও প্রদান করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। তিনি প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপি আশ্রয়ন প্রকল্পের নির্মাণ শ্রমিকসহ বসবাস-কারীদের সুবিধা-অসুবিধার কথা মনযোগ দিয়ে শুনেন ও সকলের খোঁজ খবর নেন, আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারী ও আশেপাশের জনসাধারণকে আগামীর দিকনির্দেশনা সহ ভবিষ্যতে এই ধরনের সরকার বিরোধী চক্রের যে কোন অপ্রিতিকর ঘটনায় জরুরী মুহুর্তে প্রশাসনের সহযোগীতা পেতে ৯৯৯ সহ সরকারী জরুরী সেবা গুলোতে কল দেওয়ার পরমর্শ দিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ফিরে আসেন।